ভারতীয় ইতিহাসের যাবতীয় আইকনকে আঁকড়ে ধরেছেন মোদী। দল-মত নির্বিশেষে। গান্ধীজির ভাবনা নিয়েছেন পরিচ্ছন্নতার স্বার্থে। নেহেরুর ভাবনা নিয়েছেন ধর্মনিরপেক্ষতার স্বার্থে। সুভাষচন্দ্র বসুর ভাবনা নিয়েছেন দেশপ্রেমের স্বার্থে। এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। মোদী নিয়েছেন তাঁর অখণ্ড ভারতের চিন্তা।
সেই সর্দার প্যাটেল, যিনি ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, যিনি গান্ধীহত্যার পর আরএসএস-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। তিনি নিঃসন্দেহ ছিলেন, আরএসএস সরাসরি না হলেও হিন্দু মহাসভা নিশ্চিত ভাবে গান্ধী হত্যার সঙ্গে জড়িত। দেড় বছর পর আরএসএস-এর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও, রাজনীতিতে আর কখনও যোগ না দেওয়ার শর্ত আরোপ করেছিলেন তিনি। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই শর্ত ভঙ্গ কড়েছিল আরএসএস। জনসঙ্ঘকে নিজেদের রাজনৈতিক শাখা হিসাবে গড়ে তুলেছিল। যা পরে বদলে যায় ভারতীয় জনতা পার্টিতে।
সেই জনতা পার্টিরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধন করলেন ১৮২ মিটার উচ্চতার প্যাটেল মূর্তি। কারণ, তিনি ইতিহাস বদলাতে চাইছেন। লিখতে চাইছেন নয়া ইতিহাস। বিরোধীদের অভিযোগ এমনটাই। তাঁদের কথায়, ইতিহাস মোদীর মোসাহেব নয়। ফলে বিশ্বের উচ্চতম মূর্তির ফ্লাও প্রচারের সঙ্গে উঠে আসছে হাজারটা অস্বস্তিকর তথ্য। যেমন আরএসএসের সরসঙ্ঘচালক তাত্ত্বিক মহাগুরু মাধব সদাশিব গোলওয়ালকারের চিঠির জবাবে লেখা সর্দার প্যাটেলের চিঠি।
সেই আসল চিঠির সঙ্গে তার বাংলা অনুবাদও তুলে দিলাম আমরা।