কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাতে চাওয়ার সিপিএমের লাইনে হাঁটতে নারাজ বামেদের দুই শরিক আরএসপি এবং ফরওয়ার্ড ব্লক। ঠিক তেমনই কংগ্রেস এমপি মৌসম বেনজির নুর জাতীয় স্তরে বিজেপির বিরুদ্ধে এককাট্টা হওয়ার ব্যাপারে রাহুল গান্ধীর আহ্বানকে সামনে রেখে বাংলায় বামেদের বদলে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলানোর পক্ষে যুক্তি খাড়া করেছেন। সব মিলিয়ে বাংলায় তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপির মোকাবিলায় আগামী লোকসভা নির্বাচনে জোট করে লড়ার ব্যাপারে বাম ও কংগ্রেস উভয় শিবিরের অন্দরেই মতপার্থক্য স্পষ্ট।
সিপিএম নেতৃত্ব দুই বাম শরিকের বক্তব্যকে নস্যাৎ করার জন্য কেরলের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থানকে হাতিয়ার করেছে। একইভাবে মৌসমের অভিমতকে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বও তেমন গুরুত্ব দিতে চাইছে না। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র এ ব্যাপারে বলেছেন, ওটা সম্পূর্ণ মৌসমের ব্যক্তিগত মত। কংগ্রেস একটা জাতীয় দল। তাই কার সঙ্গে শেষমেশ জোট হবে, সেটা পুরোপুরি আমাদের হাইকম্যান্ড চূড়ান্ত করবে। তা সবাইকে মানতে হবে।
মঙ্গলবারই সূর্যকান্ত মিশ্রের ডাকে সাড়া দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। বিজেপিকে আটকাতে প্রয়োজনে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার কথাও বলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক। সোমেন মিত্র সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের এই মতকে স্বাগত জানালেও মালদা কংগ্রেস নারাজ। বিজেপিকে রুখতে তৃণমূলের সঙ্গেই জোট চায় মালদা কংগ্রেস নেতৃত্ব।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মালদা কংগ্রেস নিজেদের স্বার্থেই সিপিএমের বিরোধিতা করছে। তারা জানে, তৃণমূলের হাত না ধরলে মালদা থেকে মুছে যাবে তারা। তাই কংগেসের হাত ধরা নিয়ে সিপিএম শরিকদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়েছে তেমনই, কাজিয়া আরম্ভ হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরেও। শেষ পর্যন্ত বাম-কংগ্রেস জোটের কী হয় সেই নিয়ে সন্দেহে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।