বাঙালি হল সৌন্দর্য্যপ্রিয় জাতি। তাই সুইজারল্যান্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য চিরকালই হাতছানি দিয়েছে তাদের। আল্পসের মনোমুগ্ধকর দৃশ্যাবলী কখনও উপেক্ষা করতে পারেনি বাঙালির চোখ। তবে ইদানীং সুইজারল্যান্ডের সৌন্দর্য্য সরেজমিনে দেখার প্রবণতা আরও বাড়ছে বাঙালিদের মধ্যে।
কলকাতা থেকে সরাসরি সুইজারল্যান্ডে যাওয়ার কোনও বিমান যোগাযোগ নেই। দিল্লি-মুম্বই থেকে রয়েছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গ সহ পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি থেকে আল্পস, লেক জেনেভা, লুসার্ন, জুরিখ, ইন্টারলেকেন চাক্ষুষ দেখার আগ্রহ বাড়ছে। বৃহস্পতিবার এ কথা জানান খোদ সুইজারল্যান্ড ট্যুরিজমের ডিরেক্টর ক্লডিও জেম্প।
জেম্প আরও জানান, ২০১৭ সালে ভারত থেকে সুইজারল্যান্ডে পর্যটকের সংখ্যা ২০১৬ সালের তুলনায় ২৩.৪ শতাংশ বেড়েছে। গত বছর ৭ লক্ষ ৪০ হাজার ভারতীয় সুইজারল্যান্ড গিয়েছিলেন। এর মধ্যে ‘পিক সিজন’ অর্থাৎ, মে এবং জুন মাসে যথাক্রমে ১,৬৭,০০০ এবং ১,৪৩,০০০ পর্যটক সে দেশে কমপক্ষে এক রাত্রি কাটিয়েছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর এখনও পর্যন্ত ১০ শতাংশ বেশি ভারতীয় পর্যটক সুইজারল্যান্ডে গিয়েছেন।
কেম্প আরও জানান, ভ্রমণপ্রিয় ভারতীয়দের কাছে জুরিখ, বার্নে’জ ওভারল্যান্ড এবং লেক লুসার্ন- এই তিন অঞ্চল অত্যন্ত জনপ্রিয়। ভারতীয়দের কাছ থেকে তাদের পর্যটন ব্যবসার প্রায় ৭০ শতাংশই এই তিন এলাকা থেকে আসে। তাঁর কথায়, ‘ভারতীয় পর্যটকরা আগে সুইজারল্যান্ডে প্রতি রাত্রি থাকার জন্য ৩১০ ফ্রাঁ খরচ করত। এখন তা গড়ে ৩৪০ ফ্রাঁ হয়েছে। অর্থাৎ, ভারতীয় পর্যটকরা খরচ করতে কার্পণ্য করছেন না।’
জেম্প বলেন, ‘প্লেজার ট্যুরিজম-এর জায়গায় অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। ভারতীয় চিত্রাভিনেতা রণবীর সিং-কে সুইজারল্যান্ড ট্যুরিজম-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করার পর এই চাহিদা বেড়েছে। কমবয়সী ব্যক্তি এবং যুগলরা প্লেজার ট্রিপ-এর সঙ্গে সমান তালে অ্যাডভেঞ্চারের খোঁজে লাফাচ্ছে।’ কলকাতা-সহ পূর্বাঞ্চল থেকে যাওয়া পর্যটকদের প্রায় ১০ থেকে ১২ শতাংশ অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের জন্য সুইজারল্যান্ডকে বেছে নিচ্ছেন বলেও তিনি জানান।