পুজো-আচ্চায় বিশ্বাস নেই সিপিএমের। কিন্তু ভাঁড়ারে টান। তাই পুজোয় বই বিক্রি করেই ‘লক্ষ্মীলাভ’ করতে চাইছে বামেরা। বিভিন্ন পুজোই তাই এখন পাখির চোখ আলিমুদ্দিনের।
সিপিএম সূত্রে খবর, দুর্গা থেকে কালী, জগদ্ধাত্রী থেকে গণেশ সব পুজো মণ্ডপের সামনেই যাতে জেলা কমিটিগুলো নিজেদের সাধ্যমতো বুক স্টল দেয় তার জন্য মৌখিক নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই৷ উদ্দেশশ্য, বই বিক্রি করে নিজেদের ভাঁড়ার ভরানো।
হঠাৎ কি কারণে বইয়ের স্টলে জোর দিতে চাইছেন সূর্য-সুজনেরা? আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের একাংশের দাবি, রাজ্যপাট হাতছাড়া হওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে ভোটবাক্সে ভাটা পড়েছে সিপিএমের৷ তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমেছে দলের সদস্য সংখ্যাও। স্বাভাবিকভাবেই লেভি’র ভাঁড়ারে টান পড়ায় এখন লোকসানের মুখে পড়েছেন কমরেডরা৷ সেই কারণেই বুকস্টলে বই বিক্রিতে আগ্রহ জন্মেছে তাদের।
আলিমুদ্দিন সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০১8 সালে পার্টির সদস্য সৎখ্যা ছিল ২, ৭৮, ৪৭০ জন ৷ চার বছরে সেখান থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১, ৯৫, ৯৫২তে ৷ অর্থাৎ ৭৮৫১৫ জন সদস্য এই সময়কালে দল ছেড়েছেন বা তাদের সদস্যপদ পুনর্নবীকরণ হয়নি। ফলে কমেছে আয়ও। তইি বই বিক্রির পুরনো পন্থায় ফিরতে চাইছে দল। তবে একাংশের মতে, অর্থ উপার্জনের থেকেও বই বিক্রির মাধ্যেম অনেক বেশি সাধারণ মানুষের কাছে পৌছনো যায়I গত কয়েক বছরে আমজনতা সিপিএমের থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেওয়ায় এবার বইকে হাতিয়ার করে তাঁদের কাছে পৌঁছনো চেষ্টা শুরু করছে কমরেডরাI
তাই ক’দিন পরের কালীপুজোতেই রাজ্যজুড়ে স্টল দেওয়ার জন্য ঝাঁপাতে চাইছে সিপিএম। বিশেষ করে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে কালীপুজো হয় মহাসমরাহেI সেই কারণেই ওই জায়গায় বিশেষ নজর দিতে চাইছে তারা। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কর্মী সংখ্যা। বই না হয় কিনবেন সাধারণ মানুষ, কিন্তু স্টলে বসার লোক কোথায়! সেটাই এখন ভাবাচ্ছে সিপিএমকে । পাশাপাশি আরও একটা প্রশ্ন ভাবাচ্ছে সিপিএমকে। যারা স্টল থেকে বই কিনবেন, তাঁরা ভোটবাক্সে কাস্তে-হাতুড়িতে আস্থা রাখবেন কি?