সহমতের ভিত্তিতে রাম মন্দিরের সমাধান হলে ভাল। কিন্তু তা যদি সম্ভব নাও হয়, তাহলেও রামমন্দির হবেই। প্রয়োজনে বিকল্প পথকেই বেছে নেবেন তারা। মঙ্গলবার এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। পাশাপাশি তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশে আমাদের সরকার। তাই এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব আমরাই পালন করব।
সোমবারই অযোধ্যা মামলার শুনানি পিছিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী বছরের জানুয়ারিতে এই শুনানি হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। এরপরই আদালতের অবস্থান সম্পর্কে যোগী বলেন, যথাযথ সময়ের মধ্যে যে বিচার প্রদান করা হয় সেটিই প্রকৃত বিচার। কিন্তু বিচার যদি অন্তহীন বিলম্বে হয় তাহলে সেটা একপ্রকার অবিচারের সমতুল্য।
যোগীর মতে, দেশের সিংহভাগ মানুষই রামজন্মভূমি বিতর্ক নিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান চান। তাঁদের আবেগ আর বিশ্বাসকে মর্যাদা দেওয়া উচিত। আসলে সঙ্ঘ পরিবার ও কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের খুশি করতেই যোগীর ওই মন্তব্য।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি ঝুলে যাওয়ায় গতকাল থেকেই মোদী সরকারের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি প্রকাশ্যেই সরকারের মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেছেন, আদালত এখানে কী করবে? হিন্দুসমাজের আবেগ আদালত স্থির করে দিতে পারে নাকি? রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের মত, অর্ডিন্যান্স আনাই একমাত্র পথ হওয়া উচিত। বিশ্ব হিন্দু পরিষদও জানিয়েছে, এবার আর অপেক্ষা নয়। আন্দোলন শুরু হবে।
গতকাল সুপ্রিম কোর্ট উত্তরপ্রদেশ সরকারের করা একটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। সেই আবেদনে উত্তরপ্রদেশ সরকার বলেছিল, ১০০ বছরের পুরনো রামমন্দির বিতর্ক সংক্রান্ত মামলার দ্রুত শুনানি হোক। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে রামমন্দির মামলা এগিয়ে আনা সম্ভব নয়। জানুয়ারি মাসেই স্থির করা হবে শুনানি কবে হবে।
অর্থাৎ লোকসভা ভোটের আগে রামমন্দির নিয়ে রায় ঘোষণার সম্ভাবনা কম। ফলে সঙ্ঘ পরিবার ও কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের মধ্যে দাবি উঠেছে আইন এনে সরকার মন্দির নির্মাণের পথ প্রশস্ত করুক। এই দাবি ও শোরগোলের মধ্যে মুখ খুলে সঙ্ঘের হিন্দুত্ববাদী অংশের চোখে আরও গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন যোগী।