সিনিয়ার সিটিজেন হলেন কবি সুবোধ সরকার। কথায়, কবিতায় ও গানে শিশির মঞ্চে পালিত হল তাঁর ৬০তম জন্মদিন। শিশির মঞ্চে ‘আমি কারো অন্ধকার নই’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল ‘প্রতিভাস’ আর সহযোগিতায় ছিল ‘মা তারা এন্টারপ্রাইজ’। উপস্থিত ছিলেন শুভাপ্রসন্ন, ব্রাত্য বসু, দেবশংকর হালদার, ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীজাত-সহ বাংলা শিল্পসাহিত্য মহলের প্রায় সকলেই। কবির ৬০ বছর পূর্তিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো শুভেচ্ছাপত্র পাঠের পর বীজেশ সাহা কবির হাতে তুলে দেন মানপত্র, স্মারক, উত্তরীয় ও ৬০টি লাল গোলাপের গুচ্ছ। উপহার হিসেবে কবির হাতে তুলে দেওয়া হয় পোশাক, বই, মিষ্টি ও ফল।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথিদের বক্তব্যে উঠে এলেন মানুষ, কবি, অধ্যাপক সুবোধ সরকার। মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বললেন, বন্ধুত্বে ও বিরোধে সুবোধ সরকারের সঙ্গে তাঁর গড়ে উঠেছে নিবিড় বন্ধুত্ব। শুভাপ্রসন্ন বললেন, সুবোধ যখন তাঁর বই আমাকে উৎসর্গ করেছে তখন খুশি হয়েছি আর যখন গালাগালি দিয়েছে দুঃখ পেয়েছি। একটি উল্লেখযোগ্য তথ্য দিলেন ডাক্তার কুণাল সরকার। বললেন বসনিয়া ভ্যালিতে সার্বিয়া আর ক্রোয়েশিয়ার যুদ্ধে পরিত্যক্ত রাইফেলের বুলেটের গোলাগুলি দিয়ে এখন তৈরি হচ্ছে কলম। সেরকম একটি কলম কবিকে উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করলেন তিনি। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়পর্বে সাংবাদিক গৌতম ভট্টাচার্যর সঙ্গে কথোপকথনে উঠে এলেন এক অন্য সুবোধ সরকার। গানও গাইলেন তিনি।
জন্মদিন উপলক্ষ্যে ‘প্রতিভাস’ থেকে প্রকাশিত হল সুবোধ সরকারকে নিয়ে নানানজনের স্মৃতি, রচনা, সাক্ষাৎকার ও কবির নানা ছবি–সহ ‘না কাটা হিরের দ্যুতি’। প্রতিভাসের পক্ষে কর্ণধার বীজেশ সাহা বইটি তুলে দেন বিশিষ্ট অতিথিদের হাতে।