মাঠে-ঘাটে জনসভা করলেই তার পাল্টা সভা করছে তৃণমূল। প্রতিবাদ মঞ্চ থেকেই ফাঁস করে দিচ্ছে বিজেপির যাবতীয় কুকীর্তি, মিথ্যাচার। তার পাল্টা দিয়ে উঠতে পারছে না বিজেপি। তাই এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় আশ্রয় খুঁজছে তারা।
যদিও বিজেপি নেতৃত্ব খুব ভালো করে জানেন, প্রকাশ্য জনসভার বিকল্প ইউটিউব বা ফেসবুক হতে পারে না। কিন্তু তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তির সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে না পেরে মাইকের বদলে ইউটিউবে বক্তৃতা দেওয়ার কথাই ভাবছে তারা।
বন্ধ ঘরে নেতাদের ইউটিউব বক্তৃতায় কেমন সাড়া মিলছে তার ওপরেও নজরদারি চালাবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। লোকসভা ভোটের টিকিট বিলির সময় দেখা হবে সেই সব ইউটিউব ভিডিও-র ‘লাইক’, ‘ডিসলাইকের’ পরিসংখ্যান।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যেন তেন প্রকারে বাংলায় ঘাঁটি গাড়তে চাইছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ লোকসভা ভোটের আগে বাংলার সমস্ত জেলায় পৌঁছতে হবে। কিন্তু এই রাজ্যে তাদের সাংগঠনিক শক্তি অত্যন্ত দুর্বল। তাই জনসভা করে সব জায়গায় পৌঁছনো বিজেপির পক্ষে সম্ভব নয়। তাই প্রকাশ্য জনসভার বিকল্প ইউটিউব, সোশ্যাল মিডিয়া নয় বুঝেও মানুষের কাছে পৌঁছতে বাধ্য হয়ে তারই আশ্রয় নিতে হচ্ছে বিজেপিকে। আসলে যতটা পারা যায় তাই সই – নীতি নিয়েছে বিজেপি নেতারা।