মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কন্যার চোখে কন্যাশ্রী’ বইয়ে প্রকল্প নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেছেন ছাত্রীরাই। সারা রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ২০০ ছাত্রীর মতামত মলাটবন্দী হয়েছে বইয়ে। যেমন পৃথী ঘোষ লিখেছেন, ‘কন্যাশ্রী প্রকল্প এমন একটি প্রকল্প যা প্রত্যেক মেয়ের জীবন পরিবর্তন করতে সাহায্য করেছে’। সাধনা রায়ের মন্তব্য, ‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের এই সুযোগ প্রদান করার জন্য।এই প্রকল্প আমাদের পড়াশোনায় খুবই সাহায্য করেছে।’ আবার সাহানা খাতুন লিখেছেন, ‘আমাদের আর্থিক অবস্থা ঠিক না থাকার কারণে পড়াশোনা করতে অনেক অসুবিধা হচ্ছিল। কিন্তু এই প্রকল্পের পর আমার অনেক সাহায্য হয়েছে।’
এই বইয়ের ভূমিকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, কন্যাশ্রী আমাদের গর্ব আমাদের সম্পদ। ওরাই আমাদের উপাসনা-আরাধনা-বন্দনা ও এককথায় ‘অনন্যা’। … আমাদের প্রয় পরিকল্পনা কন্যাশ্রী, যার মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত ৩০ লক্ষ মেয়েকে এই পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত করা গেছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও লিখেছেন,’আমাদের মেয়েরা সমাজের বোঝা নয়, তারা আমাদের সম্পদ। ইয়াদের পড়াশোনা চালিয়ে যাবার জন্য এবং তাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করে নিজের পায়ে দাঁড় করানোর জন্যই এই ‘কন্যাশ্রী’ পরিকল্পনা’। ভূমিকার উপসংহারে তাঁর বক্তব্য, ‘আমার ‘কন্যাশ্রী’ বন্ধুদের কিছু উপলব্ধি ও আবেগ লেখনীর মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করল। সেই কলমগুলোই সাধারণ মানুষের জ্ঞাতার্থে উৎসর্গ করলাম’।
তবে ‘কন্যার চোখে কন্যাশ্রী’ ছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখনী সমৃদ্ধ ‘বাংলার কন্যাশ্রী আজ বিশ্বজয়ী’ বইটিও ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলার স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে বলে জানিয়েছে প্রকাশক সংস্থা।