বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেই ভোটে লড়তে চায় সিপিএম। পাশাপাশি চায় বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক শক্তির পতন। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও রাজধানীতে সিবিআই সদর দপ্তরের সামনে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সিপিএমের অংশ না নেওয়ায় অবাক রাজনৈতিক মহল।
সিবিআইয়ের নজিরবিহীন অভ্যন্তরীণ ডামাডোলের পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেসের ওই বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রায় রাতারাতি ঘোষণা করা হয়। তারা সমমনোভাবাপন্ন সব দলকেই তাতে শামিল হওয়ার জন্য বার্তা পাঠায়। অতীতে এই ধরনের কোনও গুরুত্বপূর্ণ এবং তড়িঘড়ি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পলিটব্যুরোর সদস্যদের নিজেদের মধ্যে ফোনাফুনি করে নেওয়ার বহু নজির রয়েছে সিপিএমে। কিন্তু এক্ষেত্রে সেই ধরনের কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি বলে দলীয় সূত্রের খবর।
মোদির বিরুদ্ধে গোটা দেশের মানুষের ক্ষোভ তুঙ্গে উঠেছে, যখন দুর্নীতির প্রশ্নে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যথেষ্ট কোণঠাসা হয়ে পড়েছে তখন রাহুল গান্ধীর আহ্বানকে উপেক্ষা করাটা যে যথেষ্ট বোকামি হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাঁদের মতে, সুযোগ পেয়েও তা কাজে ব্যর্থ হলে বামেরা। দুর্বল নেতৃত্বের কারণেই এমন অপরিপক্ক সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন তাঁরা। এমন দুরাবস্থা চলতে থাকলে অসূর ভবিষ্যতে পার্টির কপাল পুড়তে চলেছে।
বিক্ষোভে অংশ না নেওয়ায় অবাক দলের অনেক বর্ষীয়ান নেতাও। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির একাধিক নেতা বলেন, কেন কংগ্রেসের এই আহ্বানে সাড়া দেওয়া হল না সেটা তাঁদেরও অজানা এবং বোধগম্য হচ্ছে না। বিশেষ করে যেখানে শেষ মুহূর্তে অপর মার্কসবাদী দল সিপিআই এবং বাংলায় তাদের প্রধান ‘শত্রু’ তৃণমূলের প্রতিনিধিকে রাহুলের হাতে হাত মিলিয়ে ময়দানে থাকতে দেখা গিয়েছে, সেখানে ইয়েচুরির দলের কাউকে কেন দেখা গেল না, তা নিয়েও চর্চা চলছে জোর। রাজধানীর বুকে এই ধরনের কর্মসূচিকে এড়িয়ে চলা কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।