মমতার ছোঁয়ায় বিনিয়োগবান্ধব হয়ে উঠছে রাজ্য। আসছে আরও বেশী শিল্প। শিল্প ক্ষেত্রে কর আদায়ও বেড়েছে গুরুত্বপূর্ণ হারে। গুজরাটকে টেক্কা দিয়েছে বাংলা। গত ৭ বছরে পরিকাঠামোর ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে রাজ্যে। তারই প্রমাণ আবার মিলল আলিপুরে নবনির্মিত ‘সৌজন্য’ ভবনের উদ্বোধনে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘চলতি বাজেটে পরিকাঠামো নির্মানের খাতে ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আরও ১৮ হাজার কোটি টাকা পরবর্তী ৩ বছরে বিনিয়োগ করা হবে। সৌজন্যের মতো যা যা আমরা বানাচ্ছি, তা সবই মানুষের পরিকাঠামো’। এর ফলে রাজ্যে শিল্পক্ষেত্রে আরও বেশী বিনিয়োগ আসবে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী।
পূর্তদপ্তর দিল্লীর হায়দ্রাবাদ হাউসের আদলে বানানো হয়েছে সৌজন্য। কূটনৈতিক ও শিল্পবাণিজ্যের নানা গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের একটি কেন্দ্র হয়ে উঠবে সৌজন্য। হায়দ্রাবাদ হাউসের অনুকরণে বাংলার সৌজন্য কলকাতার ল্যাণ্ডস্কেপে নয়া সংযোজন। এই ভবনের নির্মানে পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং তাঁর দপ্তরের ভূয়সী প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে ছিলেন একাধিক মন্ত্রী-আমলা ও বিশিষ্টরা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দীঘাতেও একটি কনভেনশন সেন্টার বানানোর কাজ দ্রুত চলছে। শিল্প বাণিজ্য মহলের অনেকেই সমুদ্রের ধারে সম্মেলন করতে চান। গত ৭ বছরে রাজ্যে যেভাবে পরিকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে, তা আগে হয়নি’।সৌজন্যের জন্য হাড়োয়া ও রাজারহাটে আর্সেনিকমুক্ত বিশুদ্ধ পানীয় জলেরও ব্যবস্থা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে বাংলায় পরিকাঠামো ঊণ্ণয়ণে জোর দেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, গত বাজেটে ১৮ হাজার কোটি টাকার জল ও সেতুর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। এবছর সেই বরাদ্দ বাড়িয়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা করা হবে। গত ৭ বছরে পরিকাঠামোয় অনেক উন্নতি হয়েছে। বিষয়টি মুখ্য সচিব মলয় দে দেখছেন। মিলন মেলাকেও আরও সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। তার পরিকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে’। এই অনুষ্ঠান থেকেই সকলকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা।