শুরু হয়ে গেল আই লিগ। তবে সব বছরের থেকে এই বছর থাকছে একটি ব্যতিক্রম। খেলতে হবে আইএসএল-এর সঙ্গেই। লড়াইটা তাই বেশ হাড্ডাহাড্ডি। এই লড়াই আসলে দুই লিগের।
গত বছর থেকে ফুটবলপ্রেমীদের আইএসএল প্রেমে কিছুটা ভাটা পড়েছে। এ বার পাশাপাশি যখনই আই লিগ হবে তখন কার দিকে পাল্লা তা প্রমাণ হয়ে যাবে। এ বারে সব থেকে বেশি চাপে কলকাতা। কলকাতা তথা বাংলার ফুটবল সব সময়ই ভাগ হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানে। সেই ইস্ট-মোহনের যৌথ সমর্থন নিয়েই সফল ছিল এটিকে। এ বার একই সময়ে যখন নামবে বাংলার ফুটবলের এই দুই দল তখন হয়ত সমর্থক সঙ্কটে ভুগতেও হতে পারে এটিকে-কে।
ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান মাঠে নামছে আজ। কলকাতার দুই দলই আজ শুরু করছে অ্যাওয়ে ম্যাচ দিয়ে। ইস্টবেঙ্গল খেলবে ইম্ফলে। মোহনবাগান কেরলে। ইস্টবেঙ্গলের সমস্যা যদি হয় পাহাড়ের উচ্চতা তা হলে মোহনবাগানের হাঁসফাঁস অবস্থা কেরলের গরমে। যদিও ২৪ ঘণ্টা আগেই দুই দল পৌঁছে গিয়েছে যার যার আস্তানায়। নেরোকা এফসির বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে নামার আগে সতর্ক ইস্টবেঙ্গল কোচ আলেহান্দ্রো মেনেন্দেস। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইম্ফলের খেরায় গ্রাউন্ডে ঘণ্টা খানেক অনুশীলনও করে ইস্টবেঙ্গল। ইম্ফলে খেলা হবে দুপুর ২টোয়। যে কারণে ওই সময়েই অনুশীলন করে দল। নিজেদের গেম প্ল্যান যাতে প্রতিপক্ষ শিবিরে না পৌঁছে যায় তার জন্য সেখানেও ক্লোজডডোর অনুশীলনকেই বেছে নেন কোচ।
ইস্টবেঙ্গলের একটা কাটা তো থেকেই যাচ্ছে এর মধ্যেও। অনুশীলনে দেখা যায়নি আল আমনাকে। মনে করা হচ্ছে চোটের জন্যই তাঁকে অনুশীলনে নামিয়ে ঝুঁকি নিতে চাননি কোচ। হয়ত প্রথম ম্যাচে খেলবেনও না তিনি।
অন্য দিকে মোহনবাগানে ঢাকঢোল পিটিয়ে সনি নর্ডি চলে এলেও তাঁকে সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারেনি মোহনবাগান কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী। অনেকদিন খেলার বাইরে থাকায় এখনও পুরোপুরি ম্যাচ ফিট নন তিনি। তাঁর সঙ্গে চোটের জন্য দলের সঙ্গে যেতে পারেননি আর এক বিশ্বস্ত বিদেশি ইউতা কিনোয়াকি। দু’জনেই কলকাতায় অনুশীলন করে নিজেদের পরবর্তী ম্যাচের জন্য তৈরি করছে। কেরল পৌঁছে সেন্ট জোসেফ কলেজের মাঠে অনুশীলন করে মোহনবাগান। কেরলের গরমের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে দল। গোকুলামের বিরদ্ধে মোহনবাগান খেলবে বিকেল পাঁচটায়।
এই সবের মধ্যেই কী হতে পারে দুই প্রধানের স্ট্র্যাটেজি, আসল প্রশ্ন এখন সেটাই। সবে শুরু দীর্ঘ আই লিগ যাত্রার। প্রথম ম্যাচ সব সময়ই কঠিন হয়। তাই বাগান কোচ ছেলেদের হালকা মনে নিজের খেলাটা খেলতে বলেছেন। যাতে চাপে পড়ে কোনও গন্ডগোল না হয়ে যায়। ইস্টবেঙ্গল হয়তো প্রথম থেকেই নামিয়ে দিতে পারে বিশ্বকাপার জনি অ্যাকোস্তাকে। যদিও ভরসা দেওয়ার মতো কোনও পারফরমেন্স নেই তাঁর। শুক্রবার আই লিগের ঢাকে কাঠি পড়ে গেলেও কলকাতা যে আজ থেকেই আই লিগে ডুব দেবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এখন থেকেই তাই কোমর বাঁধছে ফুটবলের বাংলা।