চলছে আত্মহত্যার মিছিল। নাগরিক পঞ্জী তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত ৬ জন আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন আসামে। তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন নীরদবরণ দাস। তাঁর আত্মহত্যা এখনও মেনে নিতে পারছেন না দরং জেলার খেরুপাথারির বাসিন্দারা। প্রশ্ন উঠেছে, বাঙালিদের সামনে কি এটাই একমাত্র পথ?
আসাম রাজ্য নাগরিক সুরক্ষা সমন্ময় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাধন পুরকায়স্থের মতে, ‘আইনকানুনের বালাই নেই। মর্জিমাফিক বাঙালিদের বিদেশি বানানো চলছে। আসলে বাঙালিদের আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য করছে রাজ্য সরকার’। সাধনবাবুর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আসামে চলতি বছরে ৬ জন বাঙালি আত্মহত্যা করেছেন। এছাড়া বিদেশি বন্দীশালায় মৃত্যু হয়েছে আরও ১০ জনের।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর কথা ভুলে গিয়েছেন খেরুপাথারির বাঙালিরা। পরপর দু’দিন বনধ পালিত হয়েছে এখানে। ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা গ্রাম। জেলা প্রশাসনের বাঙালি-বিদ্বেষী আচরণের প্রতিবাদের বনধ পালন করেছে বেঙ্গলি স্টুডেন্টস ফোরাম। মঙ্গলবারও পালিত হল ১২ ঘণ্টার আসাম বনধ। নীরদবাবুর চিতার আগুন নিভতে না নিভতেই বাঙালি-বিদবেষী স্লোগান শোনা গেল।
জানা গেছে, কিছুদিন ধরেই বেশ মনমরা ছিলেন নীরদবাবু। এনআরসি-র চূড়ান্ত খসড়া তালিকায় তাঁর নাম বাদ পড়াটা একপ্রকার মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু জেলা প্রশাসন ভোটার তালিকায় তাঁর নামের পাশে ‘ডি’ লিখে দিল, এই অপমান সহ্য করতে পারেননি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। গ্রামবাসীরা পুলিশ-প্রশাসন থেকে শুরু করে সকলের কাছে এমনটাই বলছেন বারবার।