লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটের আগে বড়সড় ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির। গত বছর মান্দসৌর কৃষক–বিক্ষোভে শিবরাজ সিং চৌহানের সরকারের মুখ রক্ষা হয়েছিল যাঁর হাতযশে, সেই গুণবন্ত পাতিদারই দল ছাড়লেন। পুলিস দিয়ে বিজেপি হেনস্থা করছে, দল ছেড়ে এমনও অভিযোগ করেছেন ওই তরুণ নেতা। রাজস্থানে মানবেন্দ্র সিং বিজেপি ছাড়ার পর এবার মধ্যপ্রদেশেও ধাক্কা খেল বিজেপি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে যা বিজেপির কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়াল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
নওজওয়ান কিসান সভা–র সঙ্গে জড়িত পাতিদার। অল ইন্ডিয়া কিসান কোঅপারেটিভ কমিটির অঙ্গ তঁার সংগঠন। গত বছর মান্দসৌরে ঋণ মকুবের দাবিতে ধর্নারত কৃষকদের ওপর গুলিচালনায় পুলিসকে ক্লিনচিট দেওয়ার ক্ষোভও তুলেছেন নতুন করে। জানিয়েছেন, কৃষকদের ন্যায় বিচার দেয়নি শিবরাজ সিংয়ের বিজেপি সরকার। একই সঙ্গে কৃষকদের অবস্থার পরিবর্তনে গুচ্ছের প্রতিশ্রুতিভঙ্গ নিয়ে মোদি সরকারকে দুষেছেন। নারায়ণগড়ের জেলাশাসকের কাছে লিখিত নালিশ জানিয়েছেন গুণবন্ত। বলেন, ‘২১ অক্টোবর মধ্যরাতে তাঁকে ফোন করে শাসান নারায়ণগড়ের এসএইচও। তঁার নালিশকে গুরুত্ব না দিলে আদালতে যাবেন, পাল্টা হুমকি দিয়েছেন পাতিদার। নালিশের চিঠি পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন নারায়ণগড়ের জেলাশাসক ও পি শ্রীবাস্তব। জানিয়েছেন, ‘কল রেকর্ড–সহ হুমকির লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন পাতিদার। নির্বাচন কমিশনের কাছে অনলাইনে নালিশও জানিয়েছেন। তদন্ত হবে।’
২০১৫–তে জেলা পরিষদের উপ–সভাপতি পদে নির্দল প্রার্থী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। পরে যোগ দেন বিজেপি–তে। ২০১৭–তে মান্দসৌরের কৃষক–বিক্ষোভ প্রশমনে তঁাকে কাজে লাগায় বিজেপি। সরকারের সঙ্গে কৃষকদের সমঝোতার দায়িত্ব দেয়। পুলিসের গুলিতে হত কৃষকদের নিকট আত্মীয়দের শিবরাজ সিং চৌহানের সঙ্গে দেখা করাতে সক্ষম হন পাতিদার, গত ১০ জুন। কৃষক–মৃত্যুর শোকে তখন মান্দসৌরেই শিবির করে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অনশনে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অনশনস্থলেই নিহতদের পরিবার পরিজন নিয়ে হাজির করেন পাতিদার। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের ক্ষতিপূরণসহ আরও অনেক প্রতিশ্রুতি দেন। সারা দেশের সংবাদ মাধ্যম মারফত বার্তা যায় যে আর অসন্তোষ নেই। মিটমাট হয়ে গিয়েছে। বাস্তবে যে তা হয়নি, দল ছেড়েই প্রমাণ দিলেন পাতিদার।