নিষিধাজ্ঞা জারি হলো না বাজি পোড়ানোয়। তবে আতশবাজির পথে পড়ল ঘড়ির কাঁটা। নিষিদ্ধ ঘোষণা না করলেও, এবার বাজি পোড়ানোয় কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করল দেশের শীর্ষ আদালত।
বিচারপতি এ কে সিক্রি এবং অশোক ভূষণের বেঞ্চ মঙ্গলবারের রায়ে জানিয়েছে, দীপাবলিতে রাত ৮টা থেকে ১০ পর্যন্ত আতশবাজি পোড়ানো যাবে। তবে সেই বাজি হতে হবে পরিবেশবান্ধব ও কম ধোঁয়ার। শব্দবাজির মাত্রা কম ডেসিবলের মধ্যে থাকতে হবে। বাজি কিনতে হবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত বিক্রেতার কাছ থেকেই। অনলাইনে আতশবাজি বিক্রি করা যাবে না।
যদি কোনও ওয়েবসাইট তা করে, তাহলে সেই ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে। যে কোনও সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ বহাল থাকবে। বাজি কারখানাগুলিকে কম দূষণমাত্রার বাজি তৈরির নির্দেশ দিতে এবং বাজিতে ক্ষতিকারক রাসায়নিকের ব্যবহার রুখতে কারখানাগুলিতে নিয়মিত নজরদারি চালাতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়া বর্ষবরণের রাতে রাত ১১.৫৫ মিনিট থেকে ভোররাত ১২.৩০টা পর্যন্ত বাজি পোড়ানো যাবে।
বায়ুদূষণ রোধে আতশবাজি তৈরি এবং বিক্রির বিরোধিতায় মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। গত ২৮ অগাস্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, তাদের দু’পক্ষের অবস্থানই শুনতে হবে। কারণ সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা বা বাঁচার অধিকার সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আতশবাজির ফলে বায়ুদূষণের জন্য দেশের ১.৩ বিলিয়ন মানুষের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করতে হবে, তেমনই এই আতশবাজি শিল্পের সঙ্গে যে সকল মানুষের জীবিকা জড়িত, তাঁদের কথাও মাথায় রাখতে হবে। দু’পক্ষের কথা শোনার পরই মঙ্গলবার এই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।
একইসঙ্গে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, কোনও এলাকায় নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি হলে, সেই দায় বর্তাবে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি-কে। পাশাপাশি আদলতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দীপাবলির ৭ দিন আগে ও পরে বাতাসে ভাসমান কণার পরিমাপ মাপতে হবে কেন্দ্র ও রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদগুলিকে।