রোনালদোর ওল্ড ট্রাফোর্ডে খেলতে যাওয়া মানেই বাড়তি আবেগ, বাড়তি আলোচনা, বাড়তি কৌতূহল। আবেগটা রোনালদোর জন্য। এই ওল্ড ট্রাফোর্ডেই তার রোনালদো হয়ে উঠা। এখানকার প্রতিটা ঘাস, ধুলিকণা তার অসংখ্য স্মৃতির স্বাক্ষী। নিজের সেই ‘আপন ঘরে’ খেলতে গেলেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন পর্তুগিজ সুপারস্টার। আলোচনা, কৌতূহলটা তুঙ্গে থাকে, রোনালদো নিজের প্রাক্তন ক্লাবের বিপক্ষে কি করেন তা নিয়ে। কিন্তু এবার আর নিজের প্রাক্তন ক্লাবের বিপক্ষে গোল করতে পারেননি পর্তুগিজ তারকা। তবে তার বর্তমান দল জুভেন্টাস ঠিকই জয় পেয়েছে। মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ১- গোলে হারিয়েছে জুভেন্টাস।
২০০৯ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়ার পর এর আগেও রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ওল্ড ট্রাফোর্ডে খেলতে এসেছেন রোনালদো। সেবার করেছিলেন গোলও। কিন্তু গোল করার পর সেদিন উদযাপন করেননি। বরং প্রিয় ক্লাবের সমর্থকদের ভালোবাসার প্রতিদানে গোল করার পর দুহাত উপরে তুলে ফেলেন! যেন গোল করে অপরাধ করে ফেলেছেন। তাই ক্ষমা চাইছেন ওল্ড ট্রাফোর্ডে দর্শকের কাছে! যারা তাকে এতো এতো ভালোবাসা দিয়েছেন, তাদেরকে গোল হজম করা কষ্ট দেওয়া তো একরকম অপরাধই।
এবার অবশ্য তাকে অপরাধী সাজতে হয়নি। কাল তিনি গোল পাননি। কাল জুভেন্টাসকে জয় এনে দিয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা পাওলো দিবালা। ১৭ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটা করেছেন তিনিই। তবে দিবালাকে পাস দিয়েছেন রোনালদোই। মানে নিজে গোল না করলেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে দেওয়া গোলে অবদান আছে তার।
দারুণ এই জয়ে শেষ ষোলতে উঠার দৌড়ে জুভেন্টাস নিজেদের অবস্থানটা শক্ত করল আরেকটু। অন্যদিকে নিজেদের ঘরের মাটির এই হারে ওল্ড ট্রাফোর্ডে হতাশার অন্ধকারটা আরও ঘণীভূত। তার চেয়েও বড় কথা, কোচ হোসে মরিনহোর চাকরি হারানোর শঙ্কাটা আরও গাঢ় হলো। মরসুমের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি ইউনাইটেডের। দলের ব্যর্থতার জন্য কোচ মরিনহোকে ছাঁটাইয়ের দাবি উঠেছে। কালকের এই হার সেই দাবিকে আরও জোরালো করল।