বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্কটে ভুগছে সিবিআই। কর্তাদের আভ্যন্তরীণ লড়াই এমন জায়গায় পৌঁছেছে, তা আর ঘরোয়া নেই, প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। একাধিক শীর্ষকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অফিসার রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছে খোদ সিবিআই। সিবিআইয়ের ডেপুটি পুলিশ সুপার দেবেন্দ্র কুমারকে গ্রেপ্তার করেছে খোদ সিবিআই। এখানেই শেষ নয়, যে সব অফিসার রাকেশ আস্থানার ঘনিষ্ঠ ছিলেন শীর্ষকর্তা অলোক বর্মার নির্দেশে তাঁদের টেবিল, দেরাজ কাগজপত্র, দস্তাবেজ ঘেঁটে দেখেন কয়েকজন দুঁদে সিবিআইয়ের কর্তা। সব মিলিয়ে সিবিআইয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেছে। বলা হচ্ছে, যখন সিবিআই কর্তারা নিজেরাই দুর্নীতিতে জড়িয়ে সেখানে দুর্নীতি তদন্তে কীভাবে সিবিআই-কে বিশ্বাস করবে সাধারণ মানুষ? তাই সিঁদুরে মেঘ দেখছে দেশবাসী।
বিজেপি বিরোধীদের অভিযোগ, সরকার নিজেদের স্বার্থে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে এই পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে। পাশাপাশি, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে কেন্দ্র সিবিআইকে ব্যবহার করছে বলেও মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। অবস্থা বেগতিক বুঝে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খোদ সিবিআইয়ের দুই শীর্ষ কর্তাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেও পরিস্থিতি সামলানো যায়নি। এমন অবস্থা দেখে কংগ্রেসের শচীন পাইলটের অভিযোগ, ‘মনে হয় এখানে সরকার ও সিবিআইয়ের কোনও স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। যার জেরেই গোয়েন্দা সংস্থাকে আজ এই পর্যায়ে নামতে হয়েছে’। এমন বলার প্রধান কারণ আস্থানার মোদী ঘনিষ্ঠতা। গুজরাত ক্যাডারের এই পুলিশ কর্তার সিবিআই-তে নিয়োগও হয়েছে মোদী জমানাতেই। ‘পিএম ব্লু-আইড বয়’ হিসাবেই আস্থানার পরিচয়। এটাকেই ইস্যু করে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে মোদি সরকার সিবিআইকে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। আস্থানার নাম না করে ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর চোখের মণি, গুজরাত ক্যাডারের অফিসার, গোধরাকাণ্ডে সিটের তদন্তের সুনজরে থাকা সিবিআইয়ের নম্বর টু ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন’।