দশমীর দিনই বরণের পালা ও সিঁদুরখেলা মিটিয়ে অনেক পুজোকমিটির প্রতিমাই বিসর্জন হয়ে গিয়েছে। ওইদিন বাড়ি ও বারোয়ারি মিলিয়ে প্রায় ২ হাজারের ওপর প্রতিমা বিসর্জন হয়েছিল। একাদশীর দিন এবং গতকাল দ্বাদশীর দিনও কলকাতার বিভিন্ন ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে।
কলকাতা পুরসভা বিসর্জনের পরই প্রতিমার কাঠামো গঙ্গা থেকে তুলে সরিয়ে দিচ্ছে অন্যত্র। যাতে দূষণ না ছড়ায়। গঙ্গা থেকে প্রতিমার কাঠামো তুলতে প্রয়োজনে ক্রেনও ব্যবহার করা হচ্ছে। পুরসভার কর্মীরা গঙ্গার পাড় পরিষ্কার করছেন মাঝেমাঝেই। বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত ঘাট পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্মীপুজোর আগেই সমস্ত ঘাট পুরোপুরি পরিষ্কার করে ফেলার টার্গেট রাখা হয়েছে। যে তৎপরতার সঙ্গে ঘাটগুলি সাফাই করা হচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসার।
এ ছাড়াও বিসর্জনের সময় যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে, সেজন্য পুলিশের টহলদারি ছিল গঙ্গায়। রিভার ট্রাফিক পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মীরা তৎপর ছিলেন। বিসর্জনের সম্পূর্ণ তদারকিতে মেয়র পারিষদ দেবাশিষ কুমার-সহ অন্যান্য মেয়র পারিষদরাও ছিলেন। নগরপাল রাজীব কুমার বিসর্জনের সময় বিভিন্ন ঘাটের পরিস্থিতির খোঁজখবর নিয়েছেন। পুজো শুরুর দিন থেকে ভাসানের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তৎপর ছিল কলকাতা পুলিশ। গতকাল কার্নিভালের জন্যেও আটঘাট বেঁধে প্রস্তুত পুলিশ।