সিবিআই-এর স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে তাঁর নিজের সংস্থা সিবিআই ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করল। অবশ্য রাকেশ আস্থানা এই ব্যাপারে সরাসরি আঙুল তুলেছেন সিবিআই প্রধান অলোক বর্মার দিকে। তাঁর অভিযোগ, আলোক বর্মাই দুর্নীতিগ্রস্ত। সিবিআইয়ের এই দুই ঊর্ধ্বতন আধিকারিকের দ্বন্দ্বে রীতিমত শোরগোল পরে গেছে রাজনৈতিক মহলে।
ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, নানা সময়ে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সেটাই যেন এবার প্রমাণ হওয়ার পথে। তারওপর রাকেশ আস্থানা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কাছের লোক বলেই পরিচিত। ফলে মোদী সরকারের অস্বস্তি যে বাড়ল সেটা বলাই বাহুল্য। সারদা, নারদা-সহ একাধিক মামলার দায়িত্বভার ছিল এই রাকেশের ওপর। তাই প্রশ্ন উঠেছে, সিবিআইয়ের আধিকারিকরা নিজেরাই যখন দুর্নীতিতে জড়িয়ে সেখানে চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্ত তারা কী করবে?
জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে সিবিআই রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে। এই তালিকায় সামন্ত কুমার গোয়েল নামে আরও এক গোয়েন্দা কর্তার নাম আছে।
হায়দরাবাদের এক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, মঈন কুরেশি মামলায় তাঁকে একাধিকবার সিবিআই দফতরে ডেকে জেরা হয়েছে। ওই মামলা থেকে তাঁকে রেহাই পাইয়ে দেবে বলে দুই কোটি টাকা ঘুষ চাওয়া হয়। অভিযোগ আস্থানার নাম করে অন্য এক ব্যবসায়ী তার কাছে ঘুষ চান। সতীশ নামে ওই ব্যবসায়ী প্রায় দুই কোটি টাকা তাঁর এক কর্মচারীর মারফত আস্থানার পাঠানো লোকের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।
রাকেশ আস্থানা ১৯৮৪ ব্যাচের আইপিএস। গুজরাত থেকে তিনি আইপিএস হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মিডলম্যান মনোজ কুমারকে গ্রেফতারের পরই জানা গিয়েছে, আস্থানার ঘুষ নেওয়ার কথা। তারপরই সিবিআই নিজেদের অফিসারের বিরুদ্ধেই এফআইআর করেছে।আস্থানার বিরুদ্ধে মোট ৬ টি দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
আস্থানার বিরুদ্ধে এফআইআর করতেই তিনি ঘুরিয়ে সিবিআই কর্তা আলোক বর্মার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। তাঁর অভিযোগ, সিবিআই প্রধান আলোক বর্মাই দুর্নীতিগ্রস্ত। পাশাপাশি সিবিআই প্রধানের বিরুদ্ধে সংবেদনশীল মামলার তদন্তে নাক গলানোরও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
এবার আস্থানার বিরুদ্ধে অনাস্থার কথা প্রকাশ্যে আসার পর জল কোনদিকে গড়ায়, তা দেখার অপেক্ষায় সংশ্লিষ্ট মহল।