অমৃতসরের রেললাইনের ওপর তখন ছিন্নভিন্ন দেহ। বাঁচার জন্য আর্তনাদ, চিৎকার। তার মধ্যেই চুরি-চামারি আর সেলফি তোলার ভিড়। এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখে জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা টুইট করেন, ‘ভিডিও ফুটেজ দেখে মনে হচ্ছে এত বড় দুর্ঘটনা আন্দাজই করতে পারছেন না তাঁরা। ট্রেনগুলি পিষে দিয়ে চলে যাওয়ার পরেও কি নির্বিকার মুখে তাঁরা ভিডিও করছেন’। আম আদমি পার্টির নেত্রী প্রীতি শর্মা মেনন টুইটে লেখেন, ‘ভিড়ের মধ্যে ট্রেন পিষে দিয়ে চলে গেল আর সকলে ভিডিও করছেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক’।
অমৃতসরের জোড়া ফটক এলাকায় রাবন দহন অনুষ্ঠানে জমায়েত ভিড়ের মধ্যে দিয়েই চলে যায় ট্রেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৬২ জনের। জখম বহু। দুর্ঘটনার যে ভিডিও ফুটেজটি প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে দেখা গিয়েছে, ট্রেনের নীচে যখন বহু মানুষ পিষ্ট হচ্ছেন, তখনও বহু মানুষ মোবাইলে ছবি তুলতে আর ভিডিও করতেই মগ্ন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক নভজ্যোৎ কাউর সিধু। সেলফি, ভিডিও তোলার ঘটনায় নিজের ক্ষোভ চেপে রাখেন নি তিনি। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা কেউ জানে না। রেল লাইনের ওপরেই দাঁড়িয়ে লোকজন ভিডিও, সেলফি তুলছিল। আচমকাই ট্রেন চলে আসে। সেলফি তোলার নেশায় এই ধরনের দুর্ঘটনার বিষয়টি নিয়ে ট্যুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে।