পুজো শেষ। এবার বিজয়ার পালা। ৩০ বি, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে ঠাকুর দেখার ভিড়। শুক্রবারই দশমী হয়ে গেছে। শনিবার বিজয়া সেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেসবুক লাইভে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শুভ বিজয়া মানে দুঃখের দিন নয়। আমাদের মিলিত হওয়ার দিন। মা আবার আসবেন। আবার বিভিন্ন প্রাঙ্গনে আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে। এই উপলক্ষ্যে মিষ্টিমুখ করা হয়। এটাই বাংলার পরম্পরা’।
শনিবার বিকাল থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে উপচে পড়েছে ভিড়। সকলেই একবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান। প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্তাব্যক্তি থেকে শুরু করে নেতা, মন্ত্রী, দলের কর্মী সমর্থকেরা মমতাকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে যান। সাংবাদিকেরাও মমতার সঙ্গে বিজয়া সারেন। কাউকেই নিরাশ করেননি মমতা। যারাই এসেছেন প্রত্যেকের সঙ্গে হাসি মুখে কথা বলেছেন। পুজো কেমন কাটল, সেই খোঁজ নিয়েছেন। সঙ্গে করিয়েছেন মিষ্টিমুখ।
পঞ্চমীর দিন প্রতিমা উদ্বোধন শেষ করে ষষ্ঠী থেকে বাড়িতেই রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোর ক’টা দিন বাড়ি থেকেই সারা রাজ্যের ওপর কড়া নজর রেখেছেন তিনি। সামনেই রেড রোডে বিসর্জনের কার্নিভাল। পুজোর মধ্যেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রী মীরাদেবীকে পাজামা, পাঞ্জাবি ও শাড়ি পাঠিয়েছেন। উপহার গ্রহণ করে বুদ্ধবাবু শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মমতাকে। এমন সৌজন্যের রাজনীতি আগে দেখেনি বাংলা।শুধু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকেই নয়, পুজোর সময় প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মীদেরই কিছু না কিছু উপহার পাঠান মমতা। এবারও তার অন্যথা হয়নি। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শিল্পপতিদেরও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত বছর থেকেই শুরু হয়েছে কার্নিভাল। এবার রেড রোডে ৭৫ টি প্রতিমা কার্নিভালে অংশ নেবে। উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং।