রাফাল বিতর্কে নতুন করে ‘তিতলি’ আছড়ে পড়ল ভারতের মাটিতে। রাফাল প্রস্তুতকারী ড্যাসল্ট-এর দুই ইউনিয়ন পৃথকভাবে নথি প্রকাশ করে জানিয়েছে, রিলায়্যান্স সংস্থাকে অংশীদারিত্ব পাইয়ে দিতে ‘বাধ্যতামূলক’ শর্ত রাখে ভারত। প্রথমে এমনই সুর শোনা গিয়েছিল প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়াঁ ওলাঁদের গলায়। এবার ড্যাসল্টের দুই ইউনিয়ানও একই দাবি করল। সব মিলিয়ে ঘরে বাইরে নতুন করে চাপ বাড়ল মোদী সরকারের।
ফ্রান্সের বিমান বিষয়ক ওয়েবসাইট প্রোটেইল-অ্যাভিয়েশন-এ প্রকাশ পায় কনফেডারেশন জেনেরেল দু ট্র্যাভেল ইউনিউনের একটি নথি। এই নথি প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন অবসরপ্রাপ্ত বায়ুসেনা অফিসার ও গবেষক ইভস প্যাগট। তাঁর দাবি, ফ্রান্স এবং দ্যাসোঁ-র কাছে অনিল অম্বানির সংস্থার নাম সুপারিশ করে মোদীর মন্ত্রক। ‘মেক ইন ইন্ডিয়ার’ নিয়ম অনুযায়ী অফসেট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বাধ্যতমূলক ভাবে রিলায়্যান্সের নামই প্রস্তাব রাখা হয়। অন্য একটি ইউনিয়ন সিএফডিটি-র তথ্যও কার্যত একই দাবি করছে।
উল্লেখ্য, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী-সহ অন্যান্য বিরোধীদের গোড়া থেকেই দাবি, অসত্ উপায়ে রিয়াল্যান্স সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ওলাঁদ যখন একই অভিযোগ করেন, কার্যত আগুনে ঘি পড়ে দেশের রাজনীতিতে।
ইতিমধ্যেই রাফাল বিতর্ক গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। গত বুধবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে গঠিত তৈরি তিন বিচারপতি বেঞ্চ কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছে কীভাবে কোন পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিমান কেনা হয়ছে তা আগামী ২৯ অক্টোবরের মধ্যে জানাতে হবে। এর আগে দ্যাসোঁ-র দুই ইউনিয়নের বিস্ফোরক তথ্য নতুন করে বিতর্কে ইন্ধন জোগাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।