উৎসবের মরশুমে মেতেছে বাংলা। তার মধ্যেই ধর্ণা-অবস্থানে নামছে ১৭ টি বামদল। যা সাধারণ মানুষের আনন্দের মাঝে এক ফোঁটা চোনার মতো। দুর্গা কার্নিভাল নিয়েও কটাক্ষ করেন সিপিএমের বর্ষীয়ান পলিটব্যুরো নেতা বিমান বসু। এর প্রত্যুত্তরে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তাঁকে পাল্টা ‘ভাঁড়’ আখ্যা দিয়েছেন।
দেশজুড়ে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের সমস্ত পেট্রোল পাম্পের সামনে ৩ ঘণ্টা ধর্ণা-অবস্থান কর্মসূচী পালন করবে ১৭ টি বামদল। আলিমুদ্দিনে সহযোগী দলগুলির সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান বিমান বসু। বামদলগুলির এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করে পুজোর সময় সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে ফেলে বামেদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দিন থেকে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। রাজ্যের মানুষের কথা ভেবে বাংলায় পেট্রোল ডিজেলের দাম ১ টাকা কমিয়েছেন তিনি। বিমানবাবুদের ক্ষমতা থাকলে প্রধানমন্ত্রী-অর্থমন্ত্রীর অফিসের সামনে গিয়ে ধর্ণা দিন। উৎসবের মরশুমে শুধু শুধু সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে ফেলবেন না’।
এদিকে সাংবাদিক সম্মেলনে দুর্গা কার্নিভাল নিয়ে কটাক্ষ করেন সিপিএমের এই বর্ষীয়ান নেতা। বিমানের কথায়, ‘আগে দেখতাম মহিলারা ফ্যাশন প্যারেড করেন। পরবর্তীকালে পুরুষেরাও এই ফ্যাশন প্যারেডে পা মিলিয়েছেন। কিন্তু মাটির মূর্তির ফ্যাশন প্যারেড আগে কখনও দেখিনি’। বিষয়টি অষ্টম আশ্চর্য কিনা সেই প্রশ্নও তোলেন বিমান।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এই দুর্গা কার্নিভাল। কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকার নামী পুজো কমিটিগুলি নিজেদের প্রতিমা নিয়ে রেড রোডে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে। গত কয়েকবছরে এই কার্নিভালের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। আগামী ২৩ অক্টোবর চলতি বছরের কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হবে। এই অনুষ্ঠান নিয়ে কটাক্ষের জবাবে বিমান বসুকে ‘ভাঁড়’ আখ্যা দেন ফিরহাদ। বলেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ নিজেদের শিল্প-সংস্কৃতি-কৃষ্টি তুলে ধরতে এই ধরণের কার্নিভালের আয়োজন করে থাকে। বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। তাকে ঘিরে আয়োজিত এই কার্নিভাল দেখতে দেশ-বিদেশের অসংখ্য মানুষ আসেন। ৩৪ বছরের সিপিএম শাসনে বিমানবাবুরা এসব ভাবতেও পারেননি। তাই এখন ভাঁড়ের মতো আবোল তাবোল বকছেন’।