সামনেই লোকসভা ভোট। জোরকদমে চলছে তার প্রস্তুতি। মাঝে উৎসবের মরশুম থাকায় কিছুটা থিতিয়ে থাকলেও পুজো কাটলেই সমস্ত রাজনৈতিক দল ঝাঁপিয়ে পড়বে প্রাক-প্রচারের কাজে।জানুয়ারির ১৯ তারিখে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে এক করে জোটের বার্তা দিতে ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলায় এনে রথযাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন রাজনৈতিক আবহাওয়ায় এখনও নিজেদের কর্মসূচী ঠিক করতে পারেনি বামেরা। সম্প্রতি বিপিএমও-র সমাপ্তি অনুষ্ঠান যেভাবে ফ্লপ করেছে তাতে অশনি সংকেত দেখছেন সূর্য-বিমানেরা। তাই আগামীদিনে রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণের ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা গ্রহণের নিদান দিয়েছেন দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
বিপিএমও সম্প্রতি রাজ্য জুড়ে অধিকারযাত্রা কর্মসূচী পালন করেছে। রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর কয়েকজন সদস্যও এই কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। চাঙ্গা করা যায়নি কর্মীদের। যার প্রভাব পড়েছে কলকাতায় সমাপ্তি কর্মসূচীতে। এটাকে ‘সাংগঠনিক ত্রুটি’ আখ্যা দিচ্ছেন দলীয় কর্মীদের একাংশ। সমাপ্তি অনুষ্ঠান সফল না হওয়ার জন্য রাজ্য কমিটির বৈঠকে ক্ষোভে ফেটে পড়েন কর্মীদের একাংশ।
শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে দলের রাজ্য কমিটির দু’দিনের বৈঠক। সেই বৈঠকে ভাষণেই দলের নেতা-কর্মীদের কর্মসূচী সফল করার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেন সূর্য। বুথ স্তরের সংগঠন যে যথেষ্ট দুর্বল সেটা বোঝা যায় সূর্যকান্তের বক্তব্য থেকে। তিনি বলেন, ‘পেট্রোপণ্য, রান্নার গ্যাসের মতো সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে জড়িত ইস্যুগুলি নিয়ে লাগাতার পথে নেমে কর্মসূচী না নিলে বুথস্তর পর্যায়ের সংগঠনকে সক্রিয় রাখা সম্ভব হবে না’।