গত ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীর সকালে দমদম নাগেরবাজারের কাজিপাড়ায়, ভয়ঙ্কর বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল গোটা এলাকা। জঙ্গিহানার মতো কিছু হয়েছে ভেবে ছুটে পালিয়েছিলেন সকলেই। তবে পালাতে পারেনি একরত্তি শিশু বিভাস ঘোষ। ওই ঘটনাটি ঘটার পর, সাহস করে ঘটনাস্থলে এসে সকলে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছে বিভাস। একইসঙ্গে আরও ১০ জন মানুষ। তখন এলাকার যুবকেরাই এগিয়ে এসে সকলকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু বাঁচানো যায়নি বিভাসকে।
এরপর কেটে গেছে দিন দশেক। সরকারি সিদ্ধান্তে সিআইডি তদন্তও শুরু হয়েছে। বিভাসের মা গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। বাকিদেরও চিকিৎসা চলছে। কেউই সুস্থ হয়ে ওঠেননি এখনও।
২রা অক্টোবর সকালে ঘটনাটি ঘটে। তার তিনদিন পরেই ছিল বিভাসের জন্মদিন। বিভাসের মা তাকে জন্মদিনের নতুন জামা কিনে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। ঘটনার দিন তিনি কাজ সেরে ওকে নিয়ে একটি মিষ্টির দোকান থেকে মিষ্টিও কেনেন। ৭ বছরের ছোট্ট বিভাস যখন মিষ্টি খেতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই প্রচণ্ড শব্দে ফলের দোকানের পাশে রাখা বোমাটি ফেটে যায়।
কয়েকদিন আগে বিভাসের বাবা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। মুখ্যমন্ত্রী মানবিকতার খাতিরে বিভাসের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। গতকাল বিকেলেই সেই সমস্ত চেক তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার পুরপ্রধান পাচু রায়। পুরসভার পক্ষ থেকেও ২৫ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয় আহতদের। সিআইডি তদন্তের নির্দেশ থেকে শুরু করে আর্থিক সাহায্য, সবরকম ভাবেই নাগেরবাজারের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা।