আগামী লোকসভা ভোটের আগে ১৯ জানুয়ারি দেশের বিজেপি বিরোধী সমস্ত দলকে একমঞ্চে আনার উদ্যোগ নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এজন্য সিপিএমকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। তবে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির চন্দ্রশেখর রাও ও বিজু জনতা দলের নবীন পট্টনায়েককে।
মোদী বিরোধী ফ্রন্ট নিয়ে মমতা উদ্যোগ নিতেই মাস ছয়েক আগে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও সর্বাগ্রে সাড়া দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, নবান্নে এসে মমতার সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনাও করেছিলেন তিনি। ঘটনাচক্রে এর কয়েক মাস পরেই মোদীর সঙ্গে রাওয়ের দিল্লিতে একান্ত বৈঠক হয়েছিল। পরবর্তীকালে সংসদে কংগ্রেস মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও টিআরএস সদস্যরা ভোটদানে বিরত ছিলেন। পরে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারপার্সন নির্বাচনে বিরোধীদের সম্মিলিত কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থন করে টিআরএস। একইভাবে বিজেডি’ও সমর্থন করে বিজেপি প্রার্থীকে। এনডিএ’র বাইরে থাকা এই দুই দলের আচরণে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ মমতা। তাই সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিরোধী ঐক্যের মঞ্চে ‘বিশ্বাসঘাতক’ দুই আঞ্চলিক দলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে না তৃণমূল।
আর্থিক নীতি থেকে নানা সামাজিক প্রশ্নে বিজেপি’র সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর সংঘাত ক্রমে বাড়ছে। দেশের সমস্ত আঞ্চলিক দলকে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে যথাসম্ভব একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দিয়ে বিজেপিকে পরাস্ত করার ফর্মুলা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সেই উদ্দেশ্যেই দেশের ছোট-বড়-মাঝারি সব দলকে নিয়েই নরেন্দ্র মোদী বিরোধী ঐক্য গঠনে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন মমতা। জাতীয় রাজনীতিতে বর্তমানে সংসদে চতুর্থ বৃহত্তম দল তৃণমূল। এই দলের নেত্রীর ভূমিকাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচন ও তার পরবর্তী পর্বে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।