পুজোর মুখে আবার খুশির খবর বাংলায়। এবার রাজ্যে ৯১৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বহুজাতিক ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্ট। নদীয়ার হরিণঘাটায় তৈরি করবে অত্যাধুনিক লজিস্টিক হাব। প্রায় ১৮, ৩১০ জনের কর্মসংস্থান হবে এখানে।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখন পাখির চোখ হল রাজ্যে বিনিয়োগ বাড়ানো। সেই লক্ষ্যেই তিনি জার্মানি ও ইতালি সফরে গিয়েছিলেন। সর্বত্রই শিল্পপতিদের উদ্দেশ্যে তাঁর আহ্বান ছিল, রাজ্যে বিনিয়োগের সহায়ক পরিবেশ রয়েছে। আপনারা বাংলায় লগ্নি করুন। এই নিয়ে বারবার বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে মমতাকে। কিন্তু তাদের মুখে ঝামা ঘষে আগের দিনই বাংলায় লগ্নি করার কথা ঘোষণা করেছিল চ্যাটার্জি গ্রুপ এবং কেভেন্টার্স অ্যাগ্রো। খুব তাড়াতাড়িই কাজ শুরু করে দেবে তারা। একদিন পরেই আবার বিনিয়োগের ঝুলি নিয়ে বাংলায় পা রাখল ফ্লিপকার্ট। পুজোর মুখে রাজ্যের বেকারদের জন্যেও এটা বড় সুখবর।
কলকাতায় ফ্লিপকার্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট অমিতেশ ঝা জানান, ‘পরিকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার সুবাদেই এ রাজ্যকে বেছে নেওয়া হয়েছ’। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, ‘জমি নিয়ে সমস্যা হবে না। রাজ্যের বিনিয়োগ পরিবেশ যে অনুকূল, তা প্রমাণ করছে এই লগ্নি’। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, নির্দিষ্ট লজিস্টিক্স নীতিও লগ্নির সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছে। ফ্লিপকার্ট আসায় অন্য সংস্থাগুলিও আগ্রহ প্রকাশ করবে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী।
ফ্লিপকার্ট সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বাংলার নদীয়ার হরিণঘাটায় ৮০ একর জমিতে ‘লজিস্টিক্স হাব’ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। পরিকাঠামো তৈরি হবে ৪০ লক্ষ বর্গ ফুটে। প্রথম ধাপে ১৫ লক্ষ বর্গ ফুট। তাঁদের দাবি, এর দরুন প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে ৫,০০০ জনের। পরোক্ষ ভাবে কাজের সুযোগ তৈরি হবে আরও ১৫ হাজার।
অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, ‘হরিণঘাটায় ট্রেনে যেমন যাতায়াতে সুবিধা, তেমনি সড়কপথেও। কল্যাণী হাইওয়ে এবং ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই ওই শিল্পতালুক। ফ্লিপকার্টের মূল সংস্থা ইনস্টাকার্ট সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করছে রাজ্য সরকার।বর্তমান বাজারমূল্য অর্থাৎ আইজিআর রেট ধরেই প্রতি একর জমির দাম ৬৩ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা ধরা হয়েছে। তাতে রাজি হয়েছে ফ্লিপকার্ট। ডব্লুবিআইডিসি’র বোর্ড তাদের জমি দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে’।