রাজ্য থেকে বর্ষা বিদায় নিলেও, পুজোর আগে নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ। এমনকি পুজোর ক’দিনও থাকতে পারে বৃষ্টির ভ্রুকুটি। শুক্রবার পূর্বাভাসে এমনটাই জানিয়েছে, আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
পঞ্চমী এবং ষষ্ঠীতে বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে শহরে। কোথাও কোথাও দু’এক পশলা মাঝারি বৃষ্টিও হতে পারে। তবে তারপরের কদিনও বৃষ্টি হবে কিনা, তা নির্ভর করছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটি কোন দিকে যাবে তার ওপর।
বেশ কয়েকদিন ধরেই আকাশ পরিষ্কার। বৃষ্টি হয়নি ছিটেফোঁটাও। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত এমনই থাকবে আবহাওয়া। তবে আগামী সোমবার দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে একটি নিম্নচাপের সৃষ্টি হতে চলেছে। এর প্রভাবে আগামী বুধবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের কোথাও হালকা, আবার কোথাও বা মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। যা চলতে পারে পঞ্চমী-ষষ্ঠী পর্যন্ত। তবে, বেশি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে। উত্তরবঙ্গ রোদ ঝলমলে থাকবে বলেই পূর্বাভাস।
এবার উত্তর ভারতে বর্ষাবিদায় শুরু হয়েছিল প্রায় এক মাস দেরিতে। ২৯ সেপ্টেম্বর রাজস্থানে বর্ষাবিদায় শুরু হওয়ায় অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন, পুজোর সময় দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। তবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দ্রুত সরে যেতে থাকায় শুক্রবারই এ রাজ্য থেকে বর্ষাবিদায় হয়ে গেল। সাধারণত এ রাজ্য থেকে বর্ষাবিদায় হয়ে থাকে ১০ অক্টোবর। এই হিসেবে বলা যায়, বর্ষা এবার আগাম বিদায় নিল।
তাহলে ফের কেন বৃষ্টি? আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বর্ষাবিদায়ের পর নিম্নচাপ, ঘূর্ণাবর্ত দানা বেঁধে থাকে। এবারও সেরকমই একটা নিম্নচাপ দানা বাঁধতে চলেছে। তবে সোমবার নিম্নচাপটি দানা বাঁধার পর বোঝা যাবে, সেটি কোন দিকে যাবে, বা তার শক্তি কেমন হবে।
পাশাপাশি আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বর্ষা বিদায় নেওয়ায় আর্দ্রতা একটু একটু করে কমতে থাকবে। ধীরে ধীরে কমবে তাপমাত্রার পারদ। তাতে কমবে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ভোরের হাওয়ায় ধীরে ধীরে আসবে হিমেল আমেজ। ঝরবে শিশির। পুজোর দিনগুলোতে তাপমাত্রা থাকবে একটু কমের দিকেই।
গত কয়েক বছর ধরেই পুজোর আগে কিংবা পুজোর সময়ে বৃষ্টি হয়েছে। এবার শারদোৎসব একটু দেরিতে হওয়ায় অনেকেই আশা করেছিলেন, বৃষ্টিহীন থাকবে উৎসবের দিনগুলি। কিন্তু পুজোর আগেই নিম্নচাপ দানা বাঁধায় উৎসবের সময়ে বৃষ্টির একটা সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।