হাওড়ার ডুমুরজলায় দলীয় সমাবেশ থেকে তৃণমূলের ‘উত্তরাধিকারী’ হিসাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর নাম ঘোষণা করেছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোর কমিটির বৈঠকে সাংগাঠনিক ক্ষেত্রে তাঁদের দায়িত্বের পরিধি আরও বাড়িয়ে দিলেন নেত্রী। শুভেন্দুর হাতে ৬ জেলা আর ১৩ লোকসভা আসনে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হল। পাশাপাশি আভিষেকের কাঁধে দেওয়া হল দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও কোচবিহার জেলার বাড়তি দায়িত্ব। আগামী দিনে শুভেন্দু-অভিষেকই যে তৃণমূলের মুখ সে ব্যাপারে দলের অন্দরেও স্পষ্ট বার্তা দিলেন মমতা।
আগামী ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে আয়োজিত হতে চলা সমাবেশের জন্য গঠিত প্রচার কমিটির দায়িত্বও তুলে দেওয়া হল শুভেন্দু-অভিষেকের হাতেই। আহ্বায়ক হলেন শুভেন্দু, যুগ্ম আহ্বায়ক অভিষেক। তৃণমূলের অন্দরে ‘ভারসাম্য’ রক্ষার ক্ষেত্রে শুভেন্দু-অভিষেক জুটি যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
দলে দক্ষিন ২৪ পরগনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শুভাশিস চক্রবর্তীকে। এই জেলার পর্যবেক্ষক হিসাবে থাকবেন ফিরহাদ হাকিম ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নদীয়ায় তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহায়তা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। দক্ষিণ দিনাজপুর দেখবেন সুব্রত বক্সী ও ফিরহাদ হাকিম। পঞ্চায়েত ভোটে ঝাড়গ্রামে তৃণমূল ধাক্কা খেলে মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেলার ভার দেওয়া হয়। এবার শুভেন্দুকেও পার্থর সঙ্গে যুক্ত করা হল। পশ্চিম মেদিনীপুরেও দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর সঙ্গে এখন থেকে থাকবেন শুভেন্দু। কোচবিহারের বক্সীর পাশাপাশি দেখভাল করবেন অভিষেকও। মমতা বলেন, ‘দলে ০.১ শতাংশ বেইমান আছে। আবার অনেকে টিকিট আর পদ না পেয়ে ক্ষুব্ধ। তারা নিজেদের পথ দেখতে পারে’।