শুরু হয়নি দেবীপক্ষ। মহালয়ার আর মাত্র দুদিন বাকি। তবে গতকাল ‘চিতোরের দুর্গ’ থেকেই উৎসব শুরু করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে এখন থেকেই সারা কলকাতায় পুজোর মেজাজে।
শুক্রবার উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই, মমতা সোজা চলে আসেন লেকটাউনের শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজোমণ্ডপে। মুগ্ধ চোখে গোটা মণ্ডপ ঘুরে দেখেন তিনি। সুজিত বসুর ভূয়সী প্রশংসা করেন। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পান্ডে, বিধায়ক অর্জুন সিং ও সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার।
মণ্ডপে খানিকটা সময় কাটিয়ে মঞ্চে এসে বক্তব্য পেশ করেন মমতা। মঞ্চ থেকেই তিনি নতুন স্লোগান দেন, ‘সেভ গ্রিন কিপ ক্লিন’। বলেন, ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ-এর প্রচার ভাল হয়েছে। মানুষ আগের থেকে অনেক সচেতন হয়েছে। দুর্ঘটনার পরিমাণও কমছে। ঠিক একই ভাবে সেভ গ্রিন কিপ ক্লিন-এর প্রচারও করতে হবে। রাস্তাঘাট পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেখানে-সেখানে থুতু বা আবর্জনা ফেলা চলবে না।’ তিনি আরও বলেন যে, আমাদের ঘরদোর আমাদেরই পরিস্কার রাখতে হয়, সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে হয়। নিজেদের এলাকাটাকেও তেমনভাবেই সুন্দর রাখতে হবে। এলাকা সুন্দর থাকলে সব সুন্দর হয়ে যায়। এ রাজ্য আমাদের, তাই আমাদের প্রত্যেককেই আরও সচেতন হতে হবে।
বিজেপিকেও বিঁধতে ছাড়েননি মমতা। মঞ্চ থেকেই বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘কড়া নজর রাখতে হবে। কারণ উৎসবের সময় দাঙ্গা লাগাতে পারে বিজেপি। আপনারা কারও প্ররোচনায় পা দেবেন না। কোনও রকম গুজবকে পাত্তা দেবেন না। শান্তিতে পুজো কাটান। প্রশাসন আপনাদের পাশে আছে। আমিও আছি। সকলকেই আরও সতর্ক থাকতে হবে।’
উল্লেখ্য, এবার বাংলার পুজো ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলেও দেখানো হবে। যা রাজ্যের কাছে খুবই গর্বের বিষয়। জানা গেছে, পুজোয় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও আসছেন। এ বিষয়ে মমতা বলেন, ‘কত মানুষ পুজো দেখতে আসেন। রাহুলও আসছেন। ভালই তো।’
প্রসঙ্গত, মহালয়া থেকেই এক-এক করে রাজ্যের বড় পুজোগুলির উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার বাগবাজার সর্বজনীনের ১০০ বছর। মহালয়ার দিন ‘জাগো বাংলা’ শারদীয়া সংখ্যার প্রকাশ করেই সরাসরি বাগবাজারের পুজো উদ্বোধনে যাবেন তিনি। তবে, গতকাল মমতার ‘পদ্মাবত’-এ আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। পুজোর আমেজ এসেছে বাংলায়।