কয়েকদিন আগেই বনধ ডেকেছিল বিজেপি। কিন্তু বাংলায় তার কোনও প্রভাব পড়েনি। কয়েকটি জেলায় অশান্তি বাঁধানোর চেষ্টা করলেও কলকাতায় দাঁত ফোটাতে পারেনি তারা। তখনই বিজেপি দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। নাগেরবাজার বিস্ফোরণ সেই ‘দেখে নেওয়া’র ফল। এমনই মনে করেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ঘটনার পেছনে আরএসএস যোগ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তৃণমূলের ঘাড়েই সমস্ত দায় চাপিয়ে তিনি ঘটনায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-এর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
বিস্ফোরণে মৃত ৮ বছরের শিশুর মৃত্যুতে ব্যথিত খাদ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘আশা করছি পুলিস দোষীদের ধরবে। যে শিশুটি মারা গেছে তার পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা জানাচ্ছি। পরিবারটিকে দেখার দায়িত্ব আমরা নিলাম। যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের চিকিৎসারও দায়িত্ব আমাদের’। বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনের পর জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পাচু রায় টার্গেট ছিলেন। এখানে অনেক কাউন্সিলর, মন্ত্রী আসেন। আমিও এসেছি। কাউকে না কাউকে তো মারার পরিকল্পনা ছিল। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মধ্যমগ্রাম, ঠাকুরনগর, কদম্বগাছিতে এবার বন্ধ হয়নি। তাই হুমকি দিয়েছিল। কোনও সন্দেহ নেই এটা বিজেপি-আরএসএসের কাজ।’। বিজেপি নেতারা উস্কানিমূলক কথা বলে বাংলা বিরোধী ষড়যন্ত্র করছে দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিজেপি একটা জঘন্য রাজনৈতিক দল। ওদের কেন নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে না নির্বাচন কমিশন? এরা হিংসা, মৃত্যুর রাজনীতি করছে। দিলীপ ঘোষ উসকানিমূলক কথা বলে যান কয়েক দিন আগে’।
খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘খাদ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বিস্ফোরক যারা রেখেছে, তারা দেশবিরোধী কাজ করছে। বিস্ফোরণে যারা মারা যায়, তাদের বেশিরভাগই নিরাপরাধ মানুষ। এ ধরনের কাজ মেনে নেওয়া যায় না।’