সাধারণ বোমা বা সকেট বোমা নয়। নাগেরবাজার বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহের পর এই ব্যাপারে নিশ্চিত বম্ব ডিটেকশন অ্যান্ড ডিসপোজাল স্কোয়াডের সদস্যরা।
তদন্তকারী অফিসারদের মতে, এমন উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক সাধারণ অপরাধীর পক্ষে তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই এর পেছনে শহুরে মাওবাদী বা জেএমবি-র মতো কোনও সংগঠন জড়িত আছে বলে সন্দেহ করছেন গোয়েন্দারা। কারণ এই জাতীয় বিস্ফোরক তারাই তৈরি এবং ব্যবহার করে।
জানা গেছে, বিস্ফোরণস্থল থেকে একটি লোহার পাইপ উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যেই রাখা ছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের মতো বিস্ফোরক। তার সঙ্গে গ্লিসারিন ও চিনি জাতীয় কিছু ব্যবহার করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান। যার মিশ্রণে রাসয়নিক বিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। ট্রিগার করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ইলেকট্রিক তার। এক্ষেত্রে ‘বিলেটেড’ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। তাই চটের থলিতে এনে রাখার বেশ কিছুক্ষণ পর বিস্ফোরণ ঘটে।
গোয়েন্দা এবং পুলিশ কর্তাদের অনুমান, যে বা যারা এই বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছিল, তারা বাইরে থেকে লোক ভাড়া করে এনে আইইডি তৈরি ক্রিয়ে থাকতে পারে। পাশাপাশি কোনও সংগঠনের থেকে বিস্ফোরক কিনে এনে ক্যারিয়ারকে দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে চক্রান্তকারীদের সঙ্গে এই সমস্ত সংগঠনের কোনও যোগাযোগ না থাকলে এই ধরণের আইইডি পাওয়া সম্ভব নয়। তাই কারা যোগাযোগ রাখছে, কেউ মধ্যস্থতা করেছে কিনা তাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে এই বিস্ফোরক আনা হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।