দীর্ঘদিন ধরেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করে আসছিলেন, রাজ্যের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং সমস্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দরকার আছে। এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্যে সেই দাবির সমর্থন মিলল। নবান্নে ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই জানালেন রাজনাথ সিং। তাঁর কথায়, ‘ভোটের সময় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ এবং রাজ্যের দাবি মতো কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাতে হয়। পরে অন্য প্রয়োজনে সেই বাহিনীকে প্রত্যাহার করতে হয় কেন্দ্রকে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর দরকার আছে রাজ্যগুলিতে’।প্রসঙ্গত, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এমন দাবিতে আমল না দিয়ে দার্জিলিং থেকে প্রচুর সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল।
বৈঠকের আয়োজক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাজনাথ বলেন, বৈঠক সম্পূর্ণভাবে সফল হয়েছে। এদিনের বৈঠকে মমতা ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস, বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি এবং ওড়িশার অর্থমন্ত্রী প্রদীপকুমার আমাত। এছাড়া ছিলেন রাজ্যগুলির মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবরা। বিজেপি নেতারা বরাবরই সামাজিক মাধ্যমের ওপর বিশেষ জোর দেন। তাই বাংলায় এসে টুইটারে নিজের নাম বাংলা ভাষায় করে নিয়েছিলেন রাজনাথ।
বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজনাথ জানান, মাওবাদী, চরমপন্থী এবং সন্ত্রাসবাদীদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবরকম কড়া ব্যবস্থাই নেবে কেন্দ্র। তবে এখনই সব কিছু প্রকাশ্যে আনা সম্ভব নয়। রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাজনাথ বলেন, ‘রাজ্যগুলিকে ওদের চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। তারপর তাদের বায়োমেট্রিক পরিচয় নিতে হবে রাজ্যগুলিকে। তারপর রাজ্যগুলি সেই বায়োমেট্রিকের রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠাবে। এরপর কেন্দ্র কূটনৈতিক স্তরে মায়ানমারের সঙ্গে এই সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে তা সমাধানের চেষ্টা করবে’।