স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আড়ালে চলছে কিডনি পাচার চক্র! কিন্তু তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি স্থানীয় বাসিন্দারা। অবশেষে একটি আন্তঃরাজ্য কিডনি পাচার চক্রের পর্দা ফাঁস হল হাওড়ার জগাছায়। এবং সেই কিডনি পাচারের ঘটনায় গ্রেফতার হলেন এক মহিলা৷
ধৃতের নাম চন্দনা গুড়িয়া (৪৪)৷ আদি বাড়ি হাওড়ার বাগনানে৷ বছর খানেক আগে জগাছা থানার জিআইপি কলোনিতে বাড়ি ভাড়া নেন চন্দনা৷ স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জগাছায় বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সময় নিজেকে নার্স বলে পরিচয় দিয়েছিলেন চন্দনা৷ একাই থাকতেন তিনি৷ বস্তুত, এক বছর আগে বাড়ির কাছেই একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র খোলেন তিনি৷ এলাকাবাসীদের দাবি, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি দিনের বেশিরভাগ সময়েই বন্ধ থাকত৷ দরজা-জানলাও পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখা হত৷ ফলে ভিতরে কী চলছে, তা টের পাননি কেউই৷
শনিবার রাতে হাওড়া সিটি পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে জিআইপি কলোনির সেই ভাড়াবাড়ি থেকে চন্দনা গুড়িয়াকে গ্রেফতার করে উত্তরাখণ্ড পুলিশ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর হরিদ্বারে দুই ব্যক্তির কিডনি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ জমা পড়ে৷ তদন্তে নেমে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করে উত্তরাখণ্ড পুলিশ৷ ধৃতদের জেরা করেই জগাছার চন্দনা গুড়িয়ার নাম জানা যায়৷ জানা গিয়েছে, গত বছর হাওড়ার জগাছা থেকে দুই ডোনারকে সঙ্গে নিয়ে হরিদ্বারে যান খোদ চন্দনাই। তাঁকে ধরতে অবশ্য রীতিমতো বেগ পেতে হয় উত্তরাখণ্ড পুলিশকে৷ শেষ পর্যন্ত হাওড়া সিটি পুলিশের সঙ্গে যোগযোগ করে তারা৷ অভিযুক্তকে ট্রানজিট রিমান্ডে উত্তরাখণ্ড নিয়ে যাবেন তদন্তকারীরা৷ ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৩৭০, ৩৪২, ১২০বি এবং অন্যান্য বেশ কিছু ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে৷