স্কুল পড়ুয়াদের কাছে বরাবরই পছন্দের ‘ডাকব্যাক’। ২০২০ সালে শতবর্ষে পা দিতে চলেছে এই সংস্থা। তাই শতবর্ষের আগে নিজেদের ব্যবসায় বৈচিত্র আনতে বর্ষাতি, রাবার গামবুটের সঙ্গে পড়ুয়াদের জন্য নানা ধরনের খাতা, পুরুষদের সুতির শার্ট, ডেনিম প্যান্টও বাজারে নিয়ে আসছে ডাকব্যাক ওয়াটারপ্রুফ প্রাইভেট লিমিটেড। পুজোর মুখেই বাজারে এই নতুন পণ্যের সম্ভার নিয়ে হাজির হবে তারা।
স্কুলব্যাগ-ব্যাকপ্যাক-ট্রলির আকর্ষণীয় সব মডেলের পাশাপাশি ডাকব্যাক বাজারে নিয়ে আসছে ওয়াটার বটল, হট ওয়াটার বটল, লাঞ্চবক্সের মত একাধিল সামগ্রী। প্রচুর নামী-দামি সংস্থা বাজারে থাকা সত্ত্বেও কেন পোশাকের ব্যবসায় তাঁরা নামতে চলেছেন?সে প্রসঙ্গে সংস্থার চেয়ারম্যান ও পি সাক্সেনা জানান, ভারতের মত বিশাল বাজারে সফল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যদি উচিৎ দামে ভাল মানের পণ্য ক্রেতাকে পৌঁছে দেওয়া যায়। তাই এক্ষেত্রে নিজেদের সুনামকে ভরসা করেই নামতে চলেছেন তাঁরা। তিনি দাবি করেন যে, ৯৮ বছর ধরে নিজেদের সুনাম ধরে রেখে বর্ষাতি এবং সংশ্লিষ্ট দ্রব্য দেশের মানুষকে সরবরাহ করে আসছে ডাকব্যাক। নিজের ক্ষেত্রে এখনও দেশে অবিসংবাদিত শীর্ষস্থান ডাকব্যাকেরই দখলে। সেই সূত্র ধরেই সংস্থা মনে করছে, এখনও বেশ কিছু ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে নিজেদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করার সুযোগ রয়েছে। তাই এবার পোশাক এবং খাতার বাজার ধরতে আসরে নামা। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যেই গুজরাতের বাজারে চলে আসা এই পোশাক সম্ভার শীঘ্রই দেশের অন্যত্রও পাওয়া যাবে।
পণ্যের সম্ভার বাড়ানোর পাশাপাশি বাজারে সংস্থার পণ্যের চাহিদা যাতে মেটানো যায়, সে কথা মাথায় রেখে চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই এ রাজ্যে ২০টি স্টোর-সহ গোটা দেশে ১০০টি এক্সক্লুসিভ স্টোর খুলতে চলেছে ডাকব্যাক। পরিকল্পনা রয়েছে ২০২০ সালের মধ্যে স্টোরের সংখ্যা ২৫০তে নিয়ে যাওয়ার। তবে শুধু দেশেই নয়, আগামী দিনে বিশ্বের বাজারে একাধিক দেশে পণ্যসামগ্রী ছড়িয়ে দিতে আগ্রহী সংস্থা। যার জন্য খোঁজ চলছে ফ্রাঞ্চাইজির। যাদের মাধ্যমে ডাকব্যাকের পণ্য পাড়ি দেবে বিদেশে।