সরকারকে মানুষের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনস্বার্থবাহী কাজে ‘আঠারো মাসে বছর’-এর ধারণা মুছে ফেলতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো কাজও শুরু হয়েছে। এবার স্বাস্থ্যদপ্তরের পালা। মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনা রূপায়ণে যুক্ত স্বাস্থ্যভবনের প্রথম সারির ন’জন অফিসারের টিম ছুটে যাচ্ছে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তর থেকে শুরু করে সব স্তরের স্বাস্থ্য কর্মীদের কাছে। সমস্যা শুনে সমাধান করাই তাঁদের কাজ। প্রকল্পের নাম ‘এক্সচেঞ্জ’। মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত এবং তাঁরই দেওয়া নামের এই প্রকল্পের জেরে এখন জেলায় জেলায় ছুটছে প্রায় গোটা স্বাস্থ্যভবন।
১৩ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হওয়া এই প্রকল্পে বিভিন্ন জেলায় স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রশাসনিক বৈঠক হচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্মীদের কাছে আসছেন সাস্থ্যভবনের অফিসারেরা। সমস্যা শুনে সমাধান করাই তাদের কাজ। অপরিহার্য যন্ত্র সারাই বা বদল, শূন্যপদ পূরণ বা হাসপাতালের পরিকাঠামো-অধিকাংশ সিদ্ধান্তই নেওয়া হচ্ছে তৎক্ষণাৎ। নয়তো কতদিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে, সেই তারিখও নির্দিষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত এই ‘এক্সচেঞ্জ প্রকল্প’-এর টিমে রয়েছেন অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (স্বাস্থ্য), স্বাস্থ্য দপ্তরের চার সচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা (শিক্ষা), স্বাস্থ্য অধিকর্তা, একজন অতিরিক্ত সচিব ও একজন যুগ্ম সচিব।
জানা গেছে, যেসব জেলা ও স্বাস্থ্য জেলায় মেডিক্যাল কলেজ নেই, তাদের এই প্রকল্পে সময় দেওয়া হচ্ছে ৯০ মিনিট। যে সব জেলায় মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে, তারা পাচ্ছে আরও ৬০ মিনিট। সমস্যার সমাধান করতে ‘মিনি স্বাস্থ্যভবন’ নিচ্ছে ৩০ মিনিট। মেডিক্যাল কলেজের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৬০ মিনিটের মধ্যে ৪০ মিনিট বরাদ্দ কলেজগুলির, বাকি ২০ মিনিট পরামর্শ দেওয়ার জন্য হাতে রেখেছেন স্বাস্থ্যভবনের অফিসাররা।
দপ্তর সূত্রের খবর, ১৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর—এই ১৬ দিনের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে ১৪টি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক প্রায় শেষদিকে। প্রথম দফায় ১৪টি জেলার সঙ্গে ‘এক্সচেঞ্জ’ হওয়ার পর পরের ধাপে পুজোর পর বাকি জেলাগুলিতে ‘মিনি স্বাস্থ্যভবন’ ছুটবে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রথম ১৪টি জেলায় ১৫ অক্টোবরের মধ্যে স্বাস্থ্যভবন বকেয়া সব কিছু মিটিয়ে ফেলা হবে।