গতকাল বিজেপির ডাকা বাংলা বনধ সফল করতে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় গেরুয়া বাহিনীর মরিয়া চেষ্টা নতুন করে সিপিএম নেতৃত্বের কপালে ভাঁজ ফেলেছে। যদিও প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপে সেই বনধ সফল হয়নি। তবে বিগত দু-তিন বছরে বিভিন্ন উপনির্বাচন বা সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলের নিরিখে বিজেপির ক্রম উত্থান নিয়ে এমনিতেই তারা বেশ চিন্তিত। আলিমুদ্দিনের নেতারা মুখে এ কথা স্বীকার না করলেও জেলাওয়াড়ি রিপোর্ট পাওয়ার পর তড়িঘড়ি এ নিয়ে আলোচনায় বসেছেন। বেশ কিছু এলাকায় বন্ধ সফল করতে বিজেপি হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালিয়েছে বলে দাবি করছেন তারা। যদিও গত সোমবার জয়নগরের পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের সময় বিজেপির সাথেই হাত মিলিয়েছে সিপিএম।
মৌখিক স্তরে বিজেপির ডাকা এই বনধকে গোড়া থেকেই বিরোধিতা করেছে সিপিএম। তাদের এই বিরোধিতা যাতে নিছক কথার কথা হয়ে না দাঁড়ায়, তা প্রমাণের তাগিদ ছিল সবচেয়ে বেশি। সেই কারণে এদিন কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় তাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি বহাল রাখে সিপিএম। পার্টির কলকাতা জেলা কমিটির উদ্যোগে এদিন ধর্মতলায় লেনিন মূর্তির চত্বরে পেট্রোপণ্য এবং বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধির ইস্যুতে সমাবেশ হয়। এই জমায়েতে জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার-সহ একাধিক নেতা ভাষণ দেন। সন্ধ্যায় দলের তরফে এক প্রতিনিধিদল সিইএসসি-র দপ্তরে ডেপুটেশনও দেয়। তবে আদতে এই সকল প্রতিবাদে তেমন ঝাঁঝ ছিল না। বরং বন্ধু ‘রাম’-এর উত্থান যে আলিমুদ্দিনের ‘বাম’ ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে, তা নেতাদের কপালের ভাঁজ দেখেই টের পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই জয়নগরের ‘মোয়া’ বিস্বাদ ঠেকছে সুজন, বিমানদের কাছে।