ইসলামপুরে ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বাংলাজুড়ে বনধ ডেকে, খুনোখুনির রাজনীতি করারই অভিযোগ উঠল বিজেপি’র বিরুদ্ধে। ইতালির মিলান থেকে রাতে দলীয় কর্মী খুনের নিন্দা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বনধের দিন কেশিয়াড়ির খাজরা বাজারে দুষ্কতীদের হাতে খুন তৃণমূল সমর্থক ব্যবসায়ী। আর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেই নিয়েই উত্তপ্ত ওই এলাকা। ১২ ঘণ্টা কেটে গেলেও কেন এখনও ওই দুষ্কৃতীদের ধরা গেল না, সেই নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জেলা জুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধেয় একটি গাড়িতে এসে জনাকয়েক দুষ্কৃতী এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়লে ওই পানব্যবসায়ীর গায়ে লাগে। নাম বিধুরঞ্জন দাস (৪৩)। তাঁকে প্রথমে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে এবং পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত ৮টা নাগাদ তিনি মারা যান। তৃণমূলের দাবি, ওই ব্যবসায়ী বনধ অগ্রাহ্য করে দোকান খুলে রেখেছিলেন বলে তাঁকে গুলি করে মারা হয়েছে। বস্তুত, প্রথমে রটিয়ে দেওয়া হয়, বনধ নিয়ে দু’পক্ষের লড়াইয়ে ওই ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু রাতে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, গুলির লড়াই নয়। একতরফা গুলি ছুঁড়েছিল কয়েকজন দুষ্কৃতী। সেই গুলিই ওই ব্যবসায়ীর গায়ে লাগে।
এ ঘটনায় কার্যত ক্ষুব্ধ মমতা, মিলান থেকেই কেশিয়াড়ির ব্যবসায়ী খুনের ঘটনাকে বিজেপির ‘রাজনৈতিক লজ্জা’ বলে মন্তব্য করলেন। মমতা এ সম্পর্কে বলেন, ‘যারা সাধারণ মানুষকে এভাবে খুন করছে, তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। নিহতের পরিবারের পাশে রাজ্য সরকার থাকবে। আর্থিক সাহায্য করা হবে। বিজেপির সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, মোদী নিজেকে চা’ওয়ালা দাবি করে ক্ষমতায় এসেছে। আর পানের দোকান খুলতে গিয়ে একজনকে মেরে দিল তাঁরই পার্টির লোক। আমার ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, দু’টি গাড়িতে করে বিজেপির লোকজন এসেছিলেন। দোকান খোলা থাকায় তাঁরা হম্বিতম্বি করতে থাকেন। হুঁশিয়ারিও দেন ব্যবসায়ীদের। বিভুরঞ্জন দাস প্রতিবাদ করলে, তাঁকে গুলি করে, গাড়িতে উঠে চম্পট দেয় বিজেপি’র ওই সমর্থকরা। যদিও বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে মমতা জানিয়েছেন দোষীরা শাস্তি পাবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না।