বনধের নামে সম্পত্তি নষ্ট করে আর পার পাওয়া যাবে না। রাজনৈতিক কর্মসূচী পালনের নামে সরকারি এবং বেসরকারি সম্পত্তি ধবংস করলে তার দায়ও নিতে হবে। দিতে হবে জরিমানা। মিলান থেকেই সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘যারা এদিন গুণ্ডামি, সন্ত্রাস আর ভাঙচুর করে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নেবে। সরকারি বা বেসরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে, তার কাছ থেকেই ক্ষতিপূরণ আদায় সংক্রান্ত একটি আইন বিধানসভায় পাশ হয়েছে। ওই আইনটি দ্রুত চালু করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি’।
প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালের ওয়েস্ট বেঙ্গল মেইন্টেন্যান্স অফ পাবলিক অর্ডার আইনে সংশোধনী এনে ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভায় পাশ করা হয়েছিল। এখন এই আইনটি ওয়েস্ট বেঙ্গল মেইন্টেন্যান্স অফ পাবলিক অর্ডার (অ্যামেণ্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০১৭ নামে পরিচিত। আইনের সংশোধনী অনুযায়ী, দাঙা-হাঙ্গমা বা রাজনৈতিক কর্মসূচী পালনের সময় সরকারি বা বেসরকারি সম্পত্তি ধবংস করলে, ঘটণায় যুক্তদের থেকে জরিমানা আদায় করা যাবে। পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধানও রয়েছে এতে।
ইসলামপুরের স্কুলে সঙ্ঘর্ষের ঘটনায় ২ ছাত্রের মৃত্যুর প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। বনধ সফল করতে মরিয়া বিজেপি এবং বনধ সমর্থকেরা কয়েকটি সরকারি বাস এবং পুলিশের জিপে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। রাজ্য পুলিশের এডিজি অনুজ শর্মা বলেন, ‘বনধের নামে যে বা যারা বাসে ভাঙচুর এবং আগুন লাগিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল মেইন্টেন্যান্স অফ পাবলিক অর্ডার অয়াক্ট, ২০১৭ অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে’।
জানা গেছে, ইসলামপুর এবং ঝাড়্গ্রামের ৩ টি বাস ভাঙচুর কড়ে আগুন লাগানো হয়েছে। ইসলামপুরে পুলিশের একটি জিপে হামলা চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় বনধ সমর্থকেরা। বনধে গোলমাল পাকানোর অভিযোগে গোটা রাজ্যে ১৬০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । তার মধ্যে ৫০ জনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা শুরু হয়েছে।