আধার নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবিতেই সিলমোহর দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এই ঘটনা বিজেপি-র গালে জোরালো থাপ্পড়, বলছে কংগ্রেস। এই নিয়ে একটি টুইটও করেছে তারা। লিখেছে, ‘আধার আইনের ৫৭ ধারা বাতিল করা হয়েছে। বেসরকারি ক্ষেত্রে আর আধার বাধ্যতামূলক নয়। আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি’।
সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে আধার বাধ্যতামূলক করেছিল মোদী সরকার। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর এই নির্দেশের আর কোনও বৈধতা রইল না। রাহুল গান্ধীর কথায়, ‘কংগ্রেসের কাছে আধার ক্ষমতায়নের অস্ত্র। বিজেপি-র কাছে দমনপীড়ন এবং নজরদারির হাতিয়ার। কংগ্রেসের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন এবং ভারতকে রক্ষা করায় সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ’।
কংগ্রেস নেতার অভিষেক মনু সিংভি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে নস্যাৎ হয়েছে বিজেপি। আধারের মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষদের পরিচয় দেওয়া ছিল ইউপিএ-র উদ্দেশ্য। মোদী তাতে নোংরা জল মেশাতে চেয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট তা থেকে বাচ্চাটাকে বাঁচাল। এই রায় বিজেপি-র গালে চড়। বেসরকারি সংস্থা আধার তথ্য চাইলে তা অসাংবিধানিক বলেই বিবেচিত হবে’। সিংভি-র সুরেই সুর মেলান কংগ্রেস মুখপাত্র রনদীপ সিং সুরজেওয়ালাও। তাঁর কথায়, ‘নরেন্দ্র মোদী সরকারের নজরদারির যন্ত্র তছনছ হল’।
এদিকে আধার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মোদী সরকারের জয় বলে দেখাতে মরিয়া বিজেপি। মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্র বলেন, ‘গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হচ্ছে না। আধার নিরাপদ বলেছে আদালত। মানুষ যাতে আধারের মাধ্যমে সরাসরি লাভবান হন তা সুনিশ্চিত ক্রাই ছিল মোদী সরকারের লক্ষ্য। কংগ্রেসের পছন্দ হয়নি। তাই আদালতে ছুটেছিল’। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘বিচারবিভাগীয় নজরদারির পর আধার সাংবিধানিক স্বীকৃতি পেল’।