রণে ভঙ্গ দিল বিজেপি। সময়ের ২ ঘণ্টা আগেই বনধ প্রত্যাহার করে নিল তারা। সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দিলেন, ‘পুজোর কথা ভেবে বনধ তুলে নিলাম’।
ইসলামপুরে্র স্কুল সঙ্ঘর্ষে দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ডেকেছিল রাজ্য বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখনই জানিয়েছিলেন, বাংলার মাটিতে আর কোনও কর্মনাশা বনধ হবে না। সাধারণ মানুষও যে মুখ্যমন্ত্রীর এই মতের পক্ষে, এদিনের স্বাভাবিক জনজীবন সেটাই আরও একবার প্রমাণ করে দিল।
বনধ ব্যর্থ করতে এদিন ভোর থেকেই পথে নামেন মানুষ। অবরোধ করে বিজেপি কর্মীরা অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করলে এগিয়ে আসেন আমজনতাই। আর পাঁচটা কর্মব্যস্ত দিনের মতো অফিস-কাছারি-স্কুলকলেজেও হাজিরা ছিল স্বাভাবিক। দোকান পাটও ছিল খোলা। কয়েক জায়গায় বিজেপি কর্মী এবং বনধ সমর্থকেরা বেশ কয়েক জায়গায় সরকারি বাসে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। পুলিশের জিপেও ভাঙচুর চালায়। কিন্তু কড়া হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করে পুলিশ।
স্কুল, কলেজ, অফিসে উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৯৮ শতাংশ। এথেকেই স্পষ্ট, সাধারণ মানুষও বিজেপি-র ডাকা বনধের বিপক্ষেই। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে নির্দিষ্ট সময় অর্থাৎ সন্ধ্যা ৬ টার দুই ঘণ্টা আগেই বনধ প্রত্যাহার করে নিল বিজেপি। যদিও বনধের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করতে চাননি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘যে উদ্দেশ্য নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি বনধ ডেকেছিল, তা সফল হয়েছে’।
যদিও বিজেপির এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে রাজ্যের যুব তৃণমূল নেতা তথা পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, বাংলার মানুষ বিজেপির ডাকা বনধ ব্যর্থ করেছে। ইতালি থেকে মুখ্যমন্ত্রীও একই কথা জানিয়েছেন। বাংলায় বিজেপির কোনও ঠাঁই নেই, মানুষ তাঁদের বনধ রাজনীতিকে ছুঁড়ে ফেলেছে, এ কথাই বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।