মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের দৌলতে, বাংলা আজ আবারও জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন দখল করেছে। এই প্রকল্পের খ্যাতি দেশের সীমানা ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে সারা বিশ্বে। মেয়েদের বাল্যবিবাহ রুখতে রাজ্যের এই প্রকল্প আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়ার পর উচ্ছ্বসিত মমতা এই প্রকল্পটির ব্যাপ্তি বৃদ্ধি করেছেন। এখন রাজ্যের সব মেয়েদের জন্য চালু হয়েছে এই প্রকল্প। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন ও রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনায় ‘খাদ্যসাথী’ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার ৮ কোটি ৬৬ লক্ষ মানুষ (৯০.৬%)-এর জন্য ২ টাকা কিলো কেজি দরে চাল দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্প ১০০ দিনের কাজের জন্য এই বাংলা সারা দেশের মধ্যে নজির সৃষ্টি করেছে। তবে রাজ্যের এরকম আরও অনেক জনহিতকর প্রকল্প সম্পর্কে কিছু জানা না থাকায় প্রকল্পগুলোর সুযোগ গ্রহণ থেকে বঞ্চিত এখনও অনেক মানুষই। তাই সাধারণ মানুষের কাছে রাজ্যের বিভিন্ন জনহিতকর প্রকল্পের বিবরণ ও জানা-অজানা অনেক সরকারি তথ্য পৌঁছে দিতে পুজোর আঙিনাকে বেছে নিয়েছে এন্টালি পদ্মপুকুরের ২০ পল্লী দুর্গাপুজো কমিটি। মোট ৪০টি সরকারি প্রকল্প ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে মন্ডপজুড়ে। শিল্পীযুগল অমিত ও অরিন্দমের ভাবনায় তৈরি এই মন্ডপের গোটাটাই যেন এক তথ্যভান্ডার।
‘সবুজ সাথী’ প্রকল্পে শিশুর জন্মের পর সরকারের তরফে একটি চারাগাছ দেওয়া হচ্ছে। শিশুর নামে পোঁতা গাছটিকে নিজের সন্তানের সঙ্গে সমান স্নেহে লালন-পালন করছেন মা। গাছ বড় হচ্ছে একইসঙ্গে সন্তান। বড় হলে গাছের ফলন বিক্রি করে আয় করছে সেই সন্তানটি। মিলছে সরকারি অর্থ। সবুজসাথী প্রকল্পের এই কাহিনী ফুটে উঠছে একটি প্যানেল ছবির মাধ্যমে। একইভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে শিশুর হৃদযন্ত্রে ফুটো থাকলে, তার চিকিৎসার জন্য ‘শিশুসাথী’। নিজস্ব গৃহনির্মাণের জন্য ‘গীতাঞ্জলি’। আবার ‘সুফল বাংলা’ প্রকল্পে সরকারের তরফে খোলা বিপণিতে সরকারের কাছে ন্যায্য মূল্যে উৎপাদিত শস্য বিক্রি করতে গরুর গাড়িতে ফসল নিয়ে যাচ্ছেন চাষি, ‘গতিধারা’ প্রকল্পে বেকারদের ভাড়ার গাড়ি ক্রয়ের জন্য সরকারের তরফে টাকা দেওয়া হচ্ছে, এইসব ছবি ফুটে উঠছে নানা প্যানেলে। এছাড়া তালিকায় রয়েছে সবলা, কিশোরী শক্তি যোজনা, যুবশ্রী, মুক্তির আলো-র মত অন্য প্রকল্পগুলো।