দাড়িভিট শান্তি চেয়েছিল। কিন্তু বাড়তি ঝামেলা ছাড়া মিলল না কিছুই। ঢাকঢোল পিটিয়ে দলবল নিয়ে দাড়িভিটে গিয়েছিল বিজেপি-র প্রতিনিধি দল। মুকুল রায়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, লকেট চ্যাটার্জি, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। তাঁদের দেখে অনেক আশা নিয়ে প্রচুর মানুষ বেরিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু ঘণ্টাখানেক সেখানে থেকে কিছু উস্কানিমূলক বক্তব্য ছাড়া কিছু দিয়ে আসতে পারলেন না বিজেপি নেতারা। সীমা লঙ্ঘন করে গ্রেপ্তারই হয়ে গেলেন বিজেপি-র উত্তর দিনাজপুর সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী। ভরসার জায়গায় জুটল বাড়তি ঝামেলা। শোকের পরিবেশে উৎকণ্ঠা সঙ্গী হল তাঁদের।
ইসলামপুরের স্থানীয় বাসিন্দা দীনেশ বর্মনের কথায়, ‘আমরা একটা সঠিক পথ চাইছিলাম। যে পথে আমাদের ছেলেদের খুনীদের শাস্তি দিতে পারি। কিন্তু দেখছি সবাই এখানে এসে যে যার মতো রাজনৈতিক বক্তব্য রেখে চলে যাচ্ছে। আর আমাদের ওপর বোঝা চেপে বসছে’। এখন এটাই দাড়িভিট গ্রামের পরিস্থিতি। কলকাতা থেকে আসা নেতা-নেত্রীরা মৃত ছাত্রদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর থেকে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করাতেই বেশী উৎসাহ দেখাচ্ছেন। বিজেপির প্রতিনিধি দলের তরফে গোটা ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে। সমস্ত বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটিকে রিপোর্ট আকারে জানানোর কথা বলেছেন।
ইসলামপুরে গিয়েছেন বাম নেতারাও। তাঁরাও প্রশাসনকে চমকানো ভাষন ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে আসতে পারেননি। সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে রাম-বাম নেতারা পরিস্থিতি থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকার লক্ষ্মী রায়, অনিতা বর্মনেরা বললেন, ‘সমস্যা দেখতে অনেকেই আমাদের গ্রামে আসছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। আমরা যেখানে ছিলাম, সেখান থেকে আরও পিছিয়ে যাচ্ছি’। গোটা ঘটনায় বাম-রাম শিবিরের কোনও গভীর রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
পঞ্চায়েত এবং গ্রামন্নোয়ন প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি বলেন, ‘কীভাবে গুলি চলল, কারা গুলি চালাল, পুলিশ তার তদন্ত করছে। এরমধ্যে বারবার বনধ, অবরোধ আন্দোলন করে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে সিপিএম এবং বিজেপি নেতারা। আসলে বিরোধীরা এটা থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে।’ এদিকে, শিক্ষক নিয়োগ ঘিরে কেন এই বিপত্তি তার তদন্ত করছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বৃহস্পতিবার স্কুলে যোগ দিতে আসা দুই শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষককে আজ, সোমবার ডেকে পাঠানো হয়েছে।