মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে শুরু হয়েছে ‘যোগ দিবস’। পালন করা হচ্ছে ‘দীনদয়াল উপাধ্যায় দিবস’। এবার জারি হল নতুন ফরমান। ২৯ সেপ্টেম্বর সমস্ত বিদ্যালয় এবং কলেজগুলিতে পালন করতে হবে ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক দিবস’। এমন দিবস পালনের নিদানে ক্ষুব্ধ রাজনৈতিক মহল। আপত্তি জানিয়েছেন শিক্ষাবিদেরাও। বাংলার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাঁর প্রশ্ন, ‘এটা বিজেপি-র অ্যাজেণ্ডা। শহিদদের সম্মান জানানো অন্য কথা। দেশভক্তি দেখাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসব করতে হবে কেন?’
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও এর মধ্যে ভোটের গন্ধই পাচ্ছেন। তাঁদের মতে, জনমানসে শহীদদের স্মৃতি কাজে লাগিয়ে লোকসভা ভোট বৈতরনী পার হতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই সেনাবাহিনীর স্মরণ নিয়েছেন মোদী।
প্রসঙ্গত, ২০১৬-র ২৯ সেপ্টেম্বর কাশ্মীর সীমান্ত পার করে পাকিস্তানের জঙ্গী ঘাঁটি ধবংস করে এসেছিল ভারতীয় সেনা। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’। দুবছর আগে ভারতীয় সেনার ওই সাফল্যকেই ‘উদযাপন’-এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাই ২৯ সেপ্টেম্বর সার্জিকাল স্ট্রাইক দিবস পালনের ফরমান জারি করেছে ইউজিসি।
জানা গেছে, ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ দিবসে একগুচ্ছ অবশ্য পালনীয় কর্মসূচী পালনেরও উদ্যোগ নিয়েছে ইউজিসি। তাঁদের নির্দেশ, অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের ডেকে পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে বাহিনীর কোনও কমান্ডার সীমান্ত সুরক্ষার নিয়ম সম্পর্কে বলবেন। সেনার প্রতি সমর্থন জ্ঞাপনে পোস্ট কার্ড বা ইমেইল মারফত ওই দিন পড়ুয়াদের লিখিত অঙ্গীকার জানাতেও বলা হয়েছে। সেগুলি নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রক এবং ভারত সরকার বিভিন্ন প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করবে। এছাড়া স্কুল, কলেজে এনসিসি প্যারেডেরও আয়োজন করার কথা ভাবছে ইউজিসি।