অশান্ত ইসলামপুর। বৃহস্পতিবার স্কুলে এক শিক্ষকের নিয়োগকে কেন্দ্র করে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর। ঘটনার খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে আজ তাঁর প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, ‘আরএসএসের যারা এই ঘটনায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা ডিআইকে সরিয়ে দিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন যে, ‘কাল মহরম। এর আগে বিহার থেকে গুলিগোলা এনে এবং গুণ্ডা বাহিনী নিয়ে এসে এরা অশান্তি করতে চাইছে। পাশাপাশি, যদি পুলিশের তরফে কোনও গাফিলতি থাকে তাও খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ইসলামপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় তীব্র নিন্দা করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। বৃহস্পতিবার রাতে নাকতলার বাড়িতে আচমকাই সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন তিনি। সেখানে বলেন, এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ডিআই কাউকে না জানিয়ে নিজেই শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই তাঁকে সাসপেন্ড করা হল। অভিযুক্ত ওই ডিআই-এর জায়গায় নতুন একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পার্থবাবু জানান, এই ঘটনার পেছেনে আরএসএস রয়েছে। কেন শিক্ষা দপ্তরকে অন্ধকারে রেখে শিক্ষক নিয়োগ করা হল, তাও তদন্ত করে দেখা হবে। দোষীদের রেয়াত করা হবে না। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ কুন্ডুও এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আছেন কি না, তা নিয়েও তদন্ত করা হবে। পার্থবাবু জানিয়েছেন, বিজেপি এই ঘটনায় যুক্ত আছে। তারা ওই জেলায় বনধ ডেকেছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, মহম্মদ সেলিম ওখানে উল্টোপাল্টা মন্তব্য করেছেন। মাত্র ১২০০ ভোটে জিতেছিলেন। আগামী দিনে ১২ লক্ষ ভোটে হারবেন। এই ঘটনায় বাইরে থেকে আলটপকা মন্তব্য করে ইন্ধন জোগাবেন যারা, তাদেরও রেয়াত করা হবে না। কড়া ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।