স্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর। পুলিশকে লক্ষ্য করে স্কুল পড়ুয়ারা ইট-পাথর ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। পুলিশও পাল্টা আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট চালায়। পুলিশ এখনও গুলি চালানোর ঘটনা স্বীকার করেনি। বরং তাদের দাবি, বহিরাগত দুষ্কৃতীরা স্কুলে ঢুকে গুলি চালিয়েছে। তাতেই ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পেছনে আরএসএস-এর উস্কানি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আন্দোলনকারীদের দাবী ছিল ভূগোল ও বিজ্ঞান শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। কিন্তু বিজেপি সেগুলো উড়িয়ে দিয়ে উর্দু বনাম বাংলা দিয়ে একটি সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়ানোর চেষ্টা চালাল। মাঝখান থেকে সংস্কৃতকে চেপে দিচ্ছে। জানা গেছে, দাঁড়িভিট হাইস্কুলে ঊর্দু শিক্ষকের পাশাপাশি সংস্কৃতের শিক্ষক ছিল। কিন্তু বিজেপির সমস্ত ওয়েব পোর্টাল ও তাদের ফেসবুক পেজ শুধু ঊর্দুটাকে সামনে রেখে প্রচার চালাচ্ছে। এভাবেই সাম্প্রদায়িক বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। স্বাভাবিক ভাবেই ঘটনা ঘিরে উঠে আসছে একগুচ্ছ প্রশ্ন। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হঠাৎ অশান্ত হয়ে উঠল কী করে? গন্ডগোল শুরু করলো কারা? ইঁট পাথর ছুঁড়লো কারা? স্কুলে ভাঙচুর করল কারা? গুলি চালালো কারা? পুলিশ জানিয়েছে, তারা গুলি চালায়নি, তাহলে রাজনৈতিক ফায়দা লুটবার জন্য কি অন্য কেউ একাজ করল?
ঘটনার পিছনে আরএসএস-এর উস্কানি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিদেশ সফরের ফাঁকেই তিনি বলেন, ‘আমরা ডিআই-কে সরিয়ে দিয়েছি। আরএসএস-এর যারা এই ঘটনায় জড়িত তাঁদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। পুলিশের কেউ দোষী থাকলে তার বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘স্কুলের প্রাক্তণ ছাত্র কেন বিক্ষোভে গিয়েছিল তার তদন্ত হবে। সিপিএম এবং আরএসএস-এর মদতেই এটা হয়েছে’।
( মতামত লেখকের ব্যক্তিগত )