বিজয় মালিয়া নিয়ে উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। আটঘাট বেঁধে ছক কষেই যে লিকার ব্যারন দেশ ছেড়েছিল বোঝা যাচ্ছে তাও। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কাছে কোনও কিছুই অজানা ছিল না, সেটাও দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট।
২০১৭ সালের জুন মাসে মালিয়া প্রায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ পাউন্ড অর্থাৎ ১৭০ কোটি টাকা ব্রিটেন থেকে সুইজারল্যান্ডের ব্যাঙ্কে পাঠিয়েছিলেন বিজয় মালিয়া। ঘটনাচক্রে মালিয়ার এই গতিবিধি সম্পর্কে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছিল ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে। কিন্তু কান দেয়নি সরকার। ফল যা হবার তাই হয়েছে। পাখি খাঁচা ছেড়ে পালিয়েছে নির্বিঘ্নে।
ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ মালিয়ার ওই ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারকে সন্দেহজনক গতিবিধি রিপোর্টে (এসএআর) পরিণত করে। সেই তথ্য দিল্লিতে সিবিআই ও ইডি-র হাতে তুলে দেওয়ার জন্যও চিহ্নিত করা হয়। এরপর দুই দেশের গোয়েন্দাকর্তারা লন্ডনে একটি বৈঠক করেন। সেখানে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের তরফে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, মালিয়ার অর্থ ট্রান্সফার ঠেকাতে উদ্যোগী হওয়া উচিত ঋণ দেওয়া ব্যাঙ্কগুলির। এজন্য ঋণ পুনরুদ্ধার সার্টিফিকেট কার্যকর করতে হবে।
পরের ঘটনাগুলি ঘটেছে খুব খুব দ্রুত। রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় সময়ের অভাবে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলি সুইজারল্যান্ডে মালিয়ার ওই অর্থ ট্রান্সফার ঠেকাতে পারেনি।