চাকরি থাকবে তো? এখন এই একটাই প্রশ্নই বিজয়া, দেনা ও ব্যাঙ্ক অফ বরোদা-র কর্মীদের মুখে। কয়েকদিন আগেই তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংযুক্তির কথা ঘোষণা হয়েছে। তারপর থেকেই আতঙ্কে কর্মীরা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, চাকরি নিয়ে কোনও কর্মীকে খারাপ শর্তের সম্মুখীন হতে হবে না। সর্বোত্তম শর্তাবলী সকলের জন্য প্রযোজ্য হবে’। তারপরেও ভরসা পাচ্ছেন না কর্মীরা। ঘুম ছুটেছে এটিএম কর্মীদের। আতঙ্কে অন্যত্র অ্যাকাউন্ট সরাতে চাইছেন গ্রাহকেরা।
এর আগে এসবিআই-এর সঙ্গে কয়েকটি সহকারী ব্যাঙ্কে সংযুক্ত হয়েছে। আর তাতে কোপ পড়েছে এটিএম কর্মীদের ওপরেই। এবার তাই অর্থমন্ত্রীর আশ্বাসবাণীতেও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না তাঁরা। ব্যাঙ্কে সংযুক্তির বিরুদ্ধে পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেছে ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়নস। এজন্য রাজ্যের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করেছে তারা।
ব্যাঙ্ক কর্মীদের সংগঠন নেতাদের বক্তব্য, এক ব্যাঙ্কের সঙ্গে অন্যটিকে মেশালেই যে অলৌকিক কিছু ঘটে যাবে তেমন প্রমাণ নেই। বরং এর আগে স্টেট ব্যাঙ্কের সঙ্গে তার পাঁচ সহযোগী ও ভারতীয় মহিলা ব্যাংকের সংযুক্তিকরণ হলেও তাতে অনুত্পাদক সম্পদের সমস্যার সমাধান হয়নি। বরং ব্যাঙ্কের শাখা বন্ধ হলে অনাদায়ী ঋণের বোঝা বাড়ে। কর্মী ছাঁটাই হয়। ব্যবসা ছোট হয়। তাদের অভিযোগ, অন্য ব্যাঙ্কের সঙ্গে মেশাতেই পরিকল্পিত ভাবে দেনা ব্যাঙ্ককে রুগ্ন করা হয়েছে।
ব্যাঙ্ক সংযুক্তিতে ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরাও। মুম্বইয়ের রাহুল কিংশুকের কথায়, ‘প্রায় এক দশকের ওপর বিজয়া ব্যাঙ্কে আমাদের অ্যাকাউন্ট আছে। এখন আর কিছু বদলাতে চাই না। কিন্তু গ্রাহকদের পছন্দের কোনও গুরুত্বই নেই সরকারের কাছে’।