আট বছর পর কলকাতা লিগ জিতেছে মোহনবাগান। কিন্তু অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন কী হতে পারবে তাঁরা। তাও আবার শেষম্যাচে প্রতিপক্ষ মহামেডান। রঘু নন্দীর ছেলেদের কাছে হেরেই তো লিগের লড়াই থেকে পুরোপুরি ছিটকে গিয়েছিল চির–প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধে তেমনভাবে দাগ কাটতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে দুই বাঙালি ফুটবলার তীর্থঙ্কর এবং পিন্টু মাহাতোর দুর্দান্ত গোলে মহামেডানকে ২–১ গোলে হারাল মোহনবাগান। সাদা–কালো ব্রিগেডের হয়ে গোলটি করেন আদজা। প্রসঙ্গত, ইস্টবেঙ্গলের জালেও বল জড়িয়েছিলেন এই ফুটবলারটি।
আগের ম্যাচ জেতায় লিগ পকেটে চলে এসেছিল। মিনি ডার্বি ছিল স্রেফ নিয়মরক্ষার। আর তাই প্রথমার্ধ থেকেই যেন অনেকটাই ছন্নছাড়া ফুটবল খেলতে থাকে শংকরলালের ছেলেরা। অন্যদিকে, চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে না জেনে লাল–হলুদের বিরুদ্ধে যে লড়াকু মানসিকতার পরিচয় দিয়েছিল রঘু নন্দীর ছেলেরা, তাও যেন উধাও হয়ে গিয়েছিল এদিন। ফলে প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় গোলশূন্যভাবে।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য খেলার গতি বাড়ে। তবে এই সময় গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে মোহনবাগান। এমেকার পরিবর্তে নামা আদজার বিশ্বমানের গোলে এগিয়ে যায় মহামেডান। এরপরই গোলশোধে মরিয়া হয়ে পড়ে বাগান। তবে আক্রমণে হেনরির অভাব মাঝেমধ্যেই চোখে পড়ছিল। অবশেষে পরিবর্ত হিসেবে নামা তীর্থঙ্করের দুরন্ত ফ্রি–কিক থেকে স্বস্তি এনে দেয় বাগান শিবিরকে। সমতা ফিরিয়ে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে সবুজ–মেরুন ব্রিগেড। নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট আগে বাগানকে জয়সূচক গোলটি এনে দেন পিন্টু মাহাতো। ম্যাচের সেরাও হয়েছেন তিনি। এদিকে, অঞ্জন শিবির থেকে টুটু বোসের শিবিরে এলেও মঙ্গলবার মাঠে উপস্থিত ছিলেন বাগানের ফুটবল সচিব বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়। খেলা শেষে দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠতেও দেখা যায় তাঁকে। এদিকে, লিগ নিজেদের শেষ ম্যাচে জিতেছে ইস্টবেঙ্গলও। এফসিআই–কে তাঁরা হারিয়েছে ১–০ গোলে। দলের হয়ে একমাত্র গোলটি জবি জাস্টিনের।
(সংগৃহীত)