পেট্রোপণ্যের দাম কমিয়ে মোদিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পেট্রোল ও ডিজেলে লিটার প্রতি এক টাকা দাম কমিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে দিলেন তিনি। একইসঙ্গে, পেট্রোপণ্যের দাম কমানোর দাবিটা ছড়িয়ে দিলেন সর্বস্তরেই।
চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন কেন্দ্র জানিয়েছিল, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে তাদের কিছু করার নেই। তার চব্বিশ ঘণ্টা কাটার আগেই, রাজ্যে পেট্রোপণ্যের দাম কমিয়ে মোদি সরকারকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে নিশানা করলেন কেন্দ্রকে। বললেন, ‘পেট্রোল-ডিজেলের উপর ১১ টাকা ৭৭ পয়সা এক্সাইজ চার্জ বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। ক্রুড অয়েলের দাম কমছে, কিন্তু সেস বাড়াচ্ছে কেন্দ্র৷ রাজ্য সরকার কিন্তু সেল ট্যাক্স ও সেস বাড়ায় না৷’
শুধু পেট্রোপণ্যই নয়। দেশের অর্থনীতির নানা ক্ষেত্রেই বেসামাল মোদী সরকার। এই অর্থনৈতিক অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, ‘ইকনমিতে মিসম্যানেজমেন্ট চলছে।সরকার গোটা বিশ্বকে কথা দিয়েছে, কিন্তু, দেশের মানুষকে বিপদে ফেলে দিয়েছে৷’ জ্বালানি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরাও চাইছেন, রাজ্যের মতো কেন্দ্রও কড়া পদক্ষেপ করুক।
পেট্রোপণ্যে লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির পরেও কেন্দ্রের এমন হাত গুটিয়ে বসে থাকায় অবাক অর্থনীতিবিদরা। তাঁদের প্রশ্ন ‘দেশে ঘটা করে জিএসটি চালু হলেও, পেট্রোপণ্য তার বাইরে কেন?’ এই সুরেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগছে বিরোধীরা। এর মধ্যে রাজ্যে পেট্রোপণ্যের দাম কমানোর মমতার এই কৌশল মোদী সরকারের ওপর চাপ বাড়িয়ে দিল।
অবশ্য মমতার এই জনহিতকর সিদ্ধান্তে রাজনীতি দেখছে রাজ্য বিজেপি। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিজেপি-র অন্যতম সাধারণ সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে, জনহিতের চেয়ে এর নেপথ্যে বেশি রয়েছে রাজনীতি। পেট্রল ও ডিজেল বাবদ রাজ্য যে আয় করে, তাতে এই ছাড় মোটেই যথেষ্ট নয়।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে খুশি অধিকাংশ রাজ্যবাসী। তাঁদের কথায়, দশ হাত খুঁড়লেও যেখানে ১ পয়সাও পাওয়া যায় না, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ১ টাকা কমিয়েছেন। মোদী সরকার তো সেক্ষেত্রে ৫০ পয়সাও দাম কমায়নি।