১০ সেপ্টেম্বর, সোমবার কংগ্রেসের ডাকা কর্মনাশা ভারত বনধে রাজ্যের সরকারি অফিসগুলিতে হাজিরা ছিল আর পাঁচটা দিনের মতই স্বাভাবিক। সকালে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অফিসে চলে আসেন সরকারি কর্মচারীরা। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, নবান্ন, বিকাশ ভবন, মহকরণে হাজিরা ছিল ৯৮ শতাংশ। জেলার অফিসগুলিতে হাজিরার গড় হল ৯৭ শতাংশ। কংগ্রেসের ডাকা এই বনধের ইস্যুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমর্থন করলেও তিনি নৈতিকভাবে ওই বনধের বিরোধী ছিলেন। তাই রাজ্য প্রশাসন বনধ ব্যর্থ করতে সবরকম প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। অন্যান্য কর্মব্যস্ত দিনগুলির মত গতকালও সকাল থেকেই সরকারি গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়। বরং অন্যান্য দিলের তুলনায় আরও বেশি পরিমাণেই সরকারি বাস চলেছে রাজ্যের সর্বত্র। এমনকি রাস্তাঘাটে যাতে কোনও রকম বাধারই সম্মুখীন না হতে হয় কাউকে, সেদিকেও কড়া নজর ছিল প্রশাসনের। সরকারি কর্মচারীদের যাতে অফিসে পৌঁছতে দেরি না হয়, তার জন্য পরিবহণ ব্যবস্থায় কোনও ত্রুটিই রাখেনি রাজ্য সরকার। ফলে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেও সবকটি সরকারি অফিস ছিল সরগরম। অন্যান্য বনধের মতোই রাজ্য সরকারের তরফে কড়া সার্কুলার জারি করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, নির্দিষ্ট কয়েকটি কারণ ছাড়া, কেবলমাত্র বনধের ছুঁতোয় অনুপস্থিত থাকলে মাইনে কাটা যাবে। এমনকি অর্ধদিবসও ছুটি নেওয়া যাবেনা।
তৃণমূল কর্মচারী সংগঠনের নেতা সৌম্য বিশ্বাস বলেন, বাংলায় বনধ, ঘেরাও, ধর্মঘট, অবরোধ এই শব্দগুলি আজ ব্রাত্য হয়ে গিয়েছে। সরকারি কর্মচারীরা জনজীবনের অংশ। তাঁরা এই ধর্মঘটে বিশ্বাস করেন না। বাংলাকে প্রগতি ও উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন সরকারি কর্মচারীরা। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যে গতকালের বনধের কোনও রকম প্রভাবই পড়েনি। বনধ অগ্রাহ্য করে সরকারি স্কুলকলেজ ও সরকারি অফিসগুলিতে মানুষের হাজিরা এটাই প্রমাণ করে যে, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকেই সার্বিকভাবে সমর্থন করেছেন। আসলে এ রাজ্যের আপামর খেটে খাওয়া মানুষ, মমতার মতই এইরূপ কর্মনাশা বনধের বিপক্ষে ছিল।